ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

বৃক্ষমানবের জিনের ত্রুটি নির্ণয় : তিন বাংলাদেশির সাফল্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৫, ১৩ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২১:০০, ১৩ জুলাই ২০১৭

বহুল আলোচিত বৃক্ষমানবের ‘জিন ত্রুটি’ নির্ণয়ে সাফল্য অর্জন করেছেন বাংলাদেশের তিন গবেষক। তাঁরা হলেন— ডা. কেএম ফোরকান উদ্দিন ও ডা. মো. রোবেদ আমিন ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান বৈজ্ঞানিক ডক্টর মোহাম্মদ উদ্দিন ড্যাফিল।

আগামী অক্টোবরে আমেরিকার ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জেনেটিসিস্টদের প্রধান প্লাটফর্ম ‘আমেরিকান সোসাইটি অব হিউম্যান জেনেটিক্স’ আয়োজিত ৬৭তম সায়েন্টিফিক কনফারেন্সে গবেষণাপত্র উপস্থাপনা করার জন্য তারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশি গবেষকদের এই কাজে সহযোগিতা করেছে কানাডার ‘হসপিটাল ফর সিক চিল্ড্রেন’ (সিককিডস)।

এই তিনজন সম্প্রতি জেনম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে খুলনার বৃক্ষ মানবী সাহানা খাতুনের জিনের ত্রুটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

কর্মসূত্রে ড. মোহাম্মদ উদ্দিন ড্যাফিল রাজধানীর জেনম সিকোয়েন্স ল্যাব ‘নিউরোজেন’ এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ডা. কেএম ফোরকান উদ্দিন ঢাকার হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজের ফ্যাকাল্টি এবং ডা. রোবেদ আমিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।               

জিন ত্রুটির ব্যাপারে ডা. কেএম ফোরকান উদ্দিন  বলেন, ট্রি ম্যান সিনড্রোম বা বৃক্ষ মানব রোগ একটি বিরল ধরনের জিনঘটিত সমস্যা। এ রোগের কারণে সাধারণত হাত ও পা আক্রান্ত হয়ে গাছের শাখা প্রশাখার আকার ধারণ করে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘এপিডার্মোডিপ্লেসিয়া ভেরুসিফর্মিস’। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো চিকিত্সা নেই। আমরা জিনের ত্রুটি নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তীতে এই রোগের জিন থেরাপি আবিষ্কারের জন্য কাজ করে যাব। আমাদের আরো একটি পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা হচ্ছে, অটিজমের জেনম সিকোয়েন্সিং বাংলাদেশেই করবো। ডা. ফোরকান আরো বলেন, জেনম সিকোয়েন্সিংয়ের ঘটনা বাংলাদেশে আমরাই প্রথম করেছি।

গত বছর আবুল বাজনদার নামে ২৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যুবকের বৃক্ষ মানব রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে বাজদারের চিকিৎসা করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। তার হাত ও পায়ের ১৬টি স্থানে অপারেশনের মাধ্যমে প্রায় ৫ কেজি বৃক্ষ সদৃশ টিস্যু অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি একই রোগ নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন খুলনার ১০ বছর বয়সী মেয়ে সাহানা খাতুন। বাংলাদেশের তিন গবেষক সাহানা খাতুনের ডিএনএ সংগ্রহ করেন। এরপর দীর্ঘ গবেষণা করেন সাহানার জিনের ত্রুটি নির্ণয়ে।

ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি