ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি সন্নিকটে?

প্রকাশিত : ১৯:০৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ২০:৪৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ভারত-পাকিস্তান পাশ্ববর্তী দুটি দেশ। দেশ দুটির মধ্যে প্রতিযোগিতা সব সময় লেগে থাকে। একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশ দুটি স্বাধীনতার পর থেকেই। দুটি দেশই পারমানবিক শক্তিধর। ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাস্মিরের পলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের ৪৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। আর এই সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ি করা হয় পাকিস্তানকে। আর এই হামলা নিয়ে ভারত-পাকস্তিানের মধ্যে যুদ্ধ যেকোনো সময় বলে মনে করছেন অনেকেই। 

এই হামলার পর আবার এক হামলায় ভারতীয় একজন মেজরসহ চারজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। আর এই হামলার জন্যও পাকিস্তানকে দায়ি করা হয়। আর পাকিস্তান সব কয়টি হামলার দায় অস্বীকার করে যাচ্ছে সব সময়।

এই হামলার পর ভারত-পাকিস্তান একে অপরের ওপর হামলা করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কল্যানে। শুক্রবার ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী নিতিন ঘোষণা করেছেন, ভারত পাকিস্তানে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিতে পারে। আর তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান যদি ভারতের সন্ত্রাসী হামলায় মদদ দেওয়া বন্ধ না করে তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। সঙ্গে পাকিস্তানকে হুমকি দেওয়া দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, ভারত যুদ্ধ শুরুর চেষ্টা করছে কিন্তু আমরা তা করছি না। আমরা শুধু আমাদের দেশকে রক্ষার চেষ্টা করছি যা আমাদের অধিকার। কিন্তু আমরা আপনাদেরকে আশ্বস্ত করছি যে, আপনারা আগ্রাসন শুরু করলে আমাদের সেনাবাহিনী বিস্মিত হবে না কিন্তু আমরা আপনাদেরকে বিস্মিত করে দেব। আশা করি আপনার বার্তা পেয়েছেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে যাবেন না। সেনারা তাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মাতৃভূমি রক্ষার জন্য লড়াই করবে।

জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতকে জবাব দিয়েছেন কিন্তু সামরিক বাহিনীর জবাব হবে ভিন্ন। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি ভারত সংলাপের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গ্রহণ করবে।

তবে, ভারত পাকিস্তান সীমান্তে সেনাটহল বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। আর পাকিস্তানও ভারতের সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। এখন যুদ্ধ যে কেনো সময়ে লাগতে পারে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। ভারত ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীকে যেকোনো হামলার জন্য অনুমতি দিয়েছে। আর পাকিস্তানও সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য অনুমতি দিয়েছে। তাই অনুমান করা যায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ যেকোনো সময়।

শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ কাস্মিরের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের যুদ্ধ বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। বিশ্ব সন্ত্রাস মুক্ত না করতে পারলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাই সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য তার সরকার কাজ করবে। এ জন্য তিনি ভারতের সাধারণ নাগরিকদের তার সরকার ও সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছেন।


এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি