ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

ভেজাল সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত অসাধু ব্যবসায়িরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৩, ২৪ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৩৫, ২৪ জুন ২০১৭

ঈদ সামনে রেখে ভেজাল সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত অসাধু ব্যবসায়িরা। কোনো ধরনের মেশিন ছাড়াই, হাত-পা দিয়ে সেমাই তৈরি হয় এ’সব কারখানায়। স্রেফ টাকার লোভে ঈদ উৎসবের এ’ খাবারটিতে মেশানো হয় মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য। এ’সব সেমাই খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক, আলসার, জন্ডিস, ক্যান্সারসহ বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরে প্রধান খাবার- সেমাই। আর বর্তমান সময়ে মেহমানদের আপ্যায়নে অন্যতম অনুসঙ্গ লাচ্ছা সেমাই।

কোটি কোটি মানুষের চাহিদা বিবেচনায় রেখে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ি নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে ভেজাল সেমাই তৈরি করছে। আকর্ষনীয় আর ঝকঝকে, চকচকে প্যাকেটের ধরণ দেখে বোঝাই যায়না এটি নকল।
সব সেমাইয়ের প্যাকেটেই লেখা রয়েছে ঘিয়ে ভাজা। তবে ঘি’র অস্তিত্ব মেলেনি কোন কারখানায়ই।
এ’সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এক কারখানার মালিক ঘি না থাকার কথা স্বীকার করে পাল্টা গণমাধ্যম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এদিকে, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বগুড়ায় শতাধিক কারখানায় চলছে লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম। একটি কারখানা কাহালুর শেখাহারে। এখানকার কারিগররা মনের আনন্দে পায়ের কসরতে সেমাই তৈরি করেন। তাদের শরীরের ঘাম আর পায়ের ধুলাবালি যুক্ত হয় সেমাইয়ে।
এ’সব দূষিত খাবার থেকে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, ক্যান্সার, কিডনী বিকলসহ নানা জাটিল রোগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে, সেমাইসহ সব ধরনের ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন-বিএসটিআই।
জনস্বার্থে আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য ভেজালমুক্ত করার দাবি সাধারণ মানুষের।

 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি