ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪

এএফপির বিশ্লেষণ

মাওয়ের পথে শি জিনপিং

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

চীনের জনক মাও সে তুংয়ের সঙ্গে যাকে তুলনা করা হচ্ছে, তিনি হলেন চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাখতে দলের একটি প্রস্তাবের পর এই দুই নেতা আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন।

মাওয়ের উগ্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে বেড়ে যাওয়া বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে একজন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাঁচ বছর মেয়াদে দুবারের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, সংবিধানের এমন ধারা বাতিল করার প্রস্তাব দেয় কমিউনিস্ট পার্টি। ২০২৩ সালের পরও সি চিন পিংকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় রাখার পথ প্রশস্ত করার লক্ষে গত রোববার এ প্রস্তাব আনা হয়।      

গত বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ বছরের জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত শি আপাতদৃষ্টিতে অবারিত ক্ষমতা অর্জন করেন। আর এ ক্ষমতা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওয়ের পর থেকে আর কখনও দেখা যায়নি। অবশ্য এই পর্যায়ে আসতে তাঁকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। বৈপ্লবিক নায়ক থেকে ভাইস প্রিমিয়ার পদ পাওয়া তাঁর বাবাকে অপসারণ করেছিলেন মাও।

এই ঘটনার পর তাঁর পরিবারকে যেতে হয়েছিল কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে। সবকিছু ছাপিয়ে তাঁর বড় নেতা হওয়ার পেছনে রয়েছে শক্ত হাতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দৃঢ় মতবাদ। মাওয়ের বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক কর্মসূচি ও ১৯৬৬-৭৬ সাল পর্যন্ত সংস্কৃতিবিপ্লবের পর কমিউনিস্ট নেতারা ওই রকম বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কার্যকরী প্রেসিডেনশিয়াল ক্ষমতার পদ্ধতি প্রণয়নের অনুসন্ধান করেন। আর এটার দায়িত্ব পড়ে পলিটব্যুরো কমিটির ওপর।

একক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া ঠেকাতে এই পদক্ষেপ সাহায্য করলেও দুর্নীতি, সামাজিক অস্থিরতাসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সি। ক্ষমতা নেওয়ার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও চীনকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দেন। আর কয়েক দশকের মধ্যে তিনি চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাবান নেতা হিসেবে বিবেচিত। তিনি গণ্য হতে থাকেন ‘সবকিছুর চেয়ারম্যান’ হিসেবে।

শির এই একক ক্ষমতার সমালোচনা করে চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের রাজনীতির অধ্যাপক উইলি ল্যাম বলেন, লাখ লাখ সিদ্ধান্তের একজন গ্রহীতা মাও সে তুংয়ের যুগে ফিরে যাচ্ছে চীন।

সি চিন পিং ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টহিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর পাঁচ বছরের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হন তিনি।

সূত্র: এএফপি

একে// এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি