ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেলের খনন কাজ ব্যাহত (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৫:৪২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

নদী খননের মাটি রাখার জায়গা নেই। ব্যাহত হচ্ছে মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলের খনন কাজ। জমা করা মাটি নদীর পাড় থেকে সরিয়ে নেয়াসহ জমি অধিগ্রহন করা না হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে খনন কাজ। বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে মোংলা বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়ায়।

নাব্য সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি ২০১৪ সালের জুলাই মাসে পুনঃখনন কাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। পরের বছর চ্যানেলটি খুলে দেয়া হয়। তবে নাব্য ঠিক রাখতে ড্রেজিং কাজ অব্যাহত থাকে। খনন করা মাটি নদীর দুই পাড়ে ফেলার কারণে তৈরি হয়েছে স্তুপ। কাদামাটি, বালুতে ঢেকে যাচ্ছে  রাস্তাঘাট।

মাটি রাখার জায়গার সংকটে ড্রেজিংও ব্যাহত হচ্ছে। এখন প্রতিদিন ১৩ ঘন্টার পরিবর্তে ৪ থেকে ৫ ঘন্টার বেশি ড্রেজিং করা যাচ্ছে না।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাটি রাখার জন্য জমি অধিগ্রহন করা না হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে খনন কাজ। 

খনন কাজ অব্যাহত না রাখা হলে মোংলা বন্দর ও সুন্দরবনের ওপর প্রভাব পড়বে বলেন চ্যানেল রক্ষা কমিটির নেতা এম এ সবুর রানা। 

তিনি বলেন, এই এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষা করতে হলে অবশ্যই এই নদী-খালগুলোকে সচল রাখতে হবে।

অন্যদিকে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিছুজ্জামান। 

তিনি বলেন, নদীর আশেপাশে যে জায়গা রয়েছে এগুলো অধিগ্রহণের কথা চলমান পর্যায়ে রয়েছে। যদি এটা সম্ভব হয়, তাহলে আমাদের ডাম্পিং কার্যক্রম পরিচালনা করা সহজ হবে।
 
মোংলা-ঘষিয়ালী চ্যানেল ড্রেজিংয়ে প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ ঘন মিটার মাটি খনন করা হয়েছে। নৌমন্ত্রনালয় এই চ্যালেনটিকে বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী ক্যানেল নামকরণ করেছে।  

এমএম/


 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি