ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রেমিটেন্স আহরণে তৃতীয় বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২০:৫৮, ১০ এপ্রিল ২০১৯

২০১৮ সালে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয় আহরণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। এ সময় বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স অর্জিত হয়েছে। আলোচ্য বছরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন ভারতীয় প্রবাসীরা।

এ অঞ্চলে শীর্ষ অবস্থানে থাকা ভারতের পরেই রয়েছে পাকিস্তান। ২০১৭ সালের তুলনায় আলোচ্য বছরে বাংলাদেশিদের অর্থ পাঠানোর হার ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় এক হাজার ৫৯০ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন বাংলাদেশিরা।

বিশ্বব্যাংকের ‘মাইগ্রেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮ সালে বিশ্বে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ভারতীয় প্রবাসীরা। তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ৭ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। তৃতীয় স্থানে থাকা মেক্সিকোর আয় ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফিলিপাইন। তাদের আয় ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের আয় ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় নেপালের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩০ দশমিক ১ শতাংশই আসে প্রবাসী আয় থেকে। শ্রীলংকায় জিডিপির ৮.১ শতাংশ। পাকিস্তানের জিডিপির ৬ দশমিক ৯ শতাংশ দখল করে আছে রেমিটেন্স। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আর ভারতের জিডিপির ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবাসী আয়ের দখলে।

বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান- এই ৩ দেশেই ২০১৮ সালে প্রবাসী আয় বেড়েছে। বাংলাদেশের আয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। পাকিস্তানের প্রবাসী আয় ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার। ৮২০ কোটি ডলার নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে নেপাল। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের আয়ই সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের আয় ছিল ১ হাজার ৩২০ কোটি ডলার।

জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানি বেড়েছে। ২০১৭ সালে প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। ২০১৮ সালেও শ্রমিক রফতানি হয়েছে অনেক।

এ ছাড়া হুন্ডি বন্ধে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। সে কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে। এর বাইরে ডলারের উচ্চমূল্যও রেমিটেন্স বাড়াতে কিছুটা সহায়ক ছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের রেমিটেন্স বেড়েছে।

২০১৮ সালে মধ্য ও নিু আয়ের দেশগুলোতে ৫২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স প্রবাহিত হয়েছে। যা ২০১৭ সালে ছিল ৪৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে এসব দেশে রেমিটেন্স বেড়েছে ৯.৬ শতাংশ।

আর উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে প্রবাহিত রেমিটেন্স ছিল ৬৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। যা ২০১৭ সালে ছিল ৬৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।

আঞ্চলিকভাবে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে রেমিটেন্স বেড়েছে ৭ শতাংশ। আর দক্ষিণ এশিয়ায় বেড়েছে ১২ শতাংশ।

বিশ্বজুড়ে রেমিটেন্স বাড়ার মূল কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাংক শক্তিশালী অর্থনীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে কর্মপরিসর বৃদ্ধি। এ ছাড়াও উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে অর্থপ্রবাহও বড় ধরনের অবদান রেখেছে। চীনকে বাদ দিলে মধ্য ও নিু আয়ের দেশগুলোতে অর্থপ্রবাহ (৪৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার), দেশগুলোতে আসা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (৩৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার) চেয়ে বেশি।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি