ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান মিয়ানমারের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৬, ২৯ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১১:৩১, ২৯ আগস্ট ২০১৮

রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় দায়ে প্রকাশ করা জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের ঐ তদন্ত প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হয়।

সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইংসহ অন্য ছয় শীর্ষ সেনা জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জাতিসংঘ এক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই চলতি সপ্তাহে বেশ চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে বলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের বেশ কিছু সেনা ও পুলিশ চৌকিতে মুসলিম রোহিঙ্গারা হামলা চালায় এমন অভিযোগে রাখাইন জুড়ে ‘সন্ত্রাসদমন’ অভিযান শুরু করে দেশটির যৌথবাহিনী। অভিযানের নামে সেখানকার রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, ধর্ষণ করা হয় নারীদের, নির্বিচারে গুলি করে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়। আর এসব অপকর্মেরই প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা।

মিয়ানমার যৌথ বাহিনীর এমন নির্যাতনে এখন পর্যন্ত প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়।

সোমবার জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ব্যাপকহারে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ দোষী সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিকভাবে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন। জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে, সেনাপ্রধানসহ বেশ কয়েক জন সামরিক কর্মকর্তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক।

কিন্তু আজ বুধবার মিয়ানমারের তরফ থেকে জাতিসংঘ মিশনের ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও হতেই এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা এফএফএম (দ্য ইউএন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন) সংস্থাকে মিয়ানমারে প্রবেশের অনুমতি দেইনি। তাই মানবাধিকার সংস্থার কোন বিশ্লেষণী প্রতিবেদন আমরা গ্রহণ করছি না এবং তাদের কোন সমাধানও মেনে নিচ্ছি না।

তিনি এক্ষেত্রে মিয়ানমারের নিজস্ব ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারির কথা বলেছেন। জাতিসংঘের সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে তাদের এই সংস্থা সাড়া দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

//এস এইচ এস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি