ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

‘সহনশীল হয়ে ঘুষ খাবেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এমন একটি বক্তব্য নিয়ে স্যোসাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমগুলোতে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কয়েকটি মিডিয়ায় ‘খালি অফিসাররা চোর না’, ‘সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ’ এসব শিরোনামেও সংবাদ প্রকাশ করে।  

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আগামীকাল বুধবার দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে তিনি তার কথাগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করবেন।  

বিভিন্ন মিডিয়া যখন শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করছে তখন ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা প্রদান করে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, মন্ত্রী আট বছর আগের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আফরাজুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দৈনিক মানবজমিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও আমাদের সময়ে যথাক্রমে ‘খালি অফিসাররা চোর না’, ‘সহনশীল হয়ে ঘুষ খাবেন’ এবং ‘সহনশীল মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার পরামর্শ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে প্রকাশিত সংবাদে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ রয়েছে।

ঘটনার উল্লেখ করে ব্যাখ্যায় বলা হয়ে, ‘২৪ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ল্যাপটপ ও প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময়  বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী এ

অধিদপ্তরের অতীতের আট বছর আগের উদাহরণ দিতে গিয়ে ডিআইএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে পিয়ার ইনস্পেকশন ও ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালুর ফলে এ অবস্থার অনেক পরিবর্তন ও উন্নতি হয়েছে। ডিআইএর  কর্মকর্তাদের কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিআইএর একজন কর্মকর্তাকে দুর্নীতির প্রমাণসহ দুদকের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মন্ত্রী ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে ডিআইএসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি স্মরণ করিয়ে দেন।

কিন্তু প্রকাশিত সংবাদগুলোতে ডিআইএর অতীতবিষয়ক বক্তব্য বা তুলনাকে বর্তমানের কথা ধরে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা দুঃখজনক, বিভ্রান্তিকর ও শিক্ষামন্ত্রীর মূল বক্তব্যের বিপরীত এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বর্তমান নীতির পরিপন্থী।

এসি/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি