ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

সন্তানের মুখ না দেখেই চলে গেলেন ইব্রাহীম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৭, ৬ জুন ২০২২

বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ইব্রাহীম হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুন্নী খাতুন। মা, বাবা, বোন স্বজনদের গগণবিদারী আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠছে চারপাশ।

ইব্রাহীম (২৭) যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের আবুল কাশেম মুন্সীর ছোট ছেলে। এই বাড়িতে চলছে এখন শোকের মাতম। কাঁদছে ইব্রাহীমের বোন সেলিনা আক্তার। 

কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ইব্রাহীমের বোন বিলাপ করে বলছেন, ‘আমার ভাই ভিডিও করতিছিলো! ভিডিও করতি করতি কী ছুইটে আইসে আমার ভাই’র মাথায় লাইগলো রে...। মা কয়ে চিল্লেন দিয়ে আর কথা কইনি রে...। আমার ভাই কী কইরে ফুরোয়ে গেলো রে..। ভাইতো আর আসবে নারে...।’

ইব্রাহীমের খালাতো ভাই শিমুল হোসেন বলেন, ইব্রাহীম শনিবার রাতে অনেকের মতো অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। কিছু সময় পর হঠাৎ ডিপোর কনটেইনারগুলোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন থেকে ইব্রাহীমের মুঠোফোন বন্ধ ছিল। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজির পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তার মরদেহের সন্ধান মেলে।

রোববার (৫ জুন) সকাল থেকেই প্রতিবেশি ও গ্রামের লোকজন ইব্রাহীমের বাড়িতে ভিড় করছেন। ছেলের অপেক্ষায় রয়েছেন মা দুলুপি বেগম ও বাবা আবুল কাশেম। জীবন সঙ্গীকে হারিয়ে স্ত্রী মুন্নি খাতুন যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। ভাই-বোনসহ অন্যান্য স্বজনদের গগণবিদারী আহাজারিতে চারপাশ ভারি হয়ে উঠেছে।

ইব্রাহীমের মা বলেন, ‘ইব্রাহীমের সঙ্গে শনিবার রাত নয়টায় মুঠোফোনে আমাদের শেষ কথা হয়। ঈদে বাড়ি এসে সন্তানের মুখ দেখতে চেয়েছিলো সে। পুত্র সন্তান হলে মাদরাসায় পড়াতে চেয়েছিল, হাফেজ বানাবে। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে ইব্রাহীমের সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো।’

ইব্রাহীমের খালাতো ভাই শিমুল রোববার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে মরদেহ গ্রহণ করে যশোরের পথে রয়েছেন। আজ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।   

এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি