ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

সবার মাস্ক ব্যবহারের দরকার নেই: আইইডিসিআর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা- সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা- সংগৃহীত

Ekushey Television Ltd.

সবার মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, শুধু চীন ফেরতদের কেউ অসুস্থ হলে তিনি ও তার সেবাদাতারা তা ব্যবহার করবেন। এমনটি বলছে বাংলাদেশ সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর।

চীনে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বাংলাদেশে মাস্কের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় এমন বক্তব্য দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ বৃহস্পতিবার মহাখালীতে করোনাভাইরাস ঠেকাতে পদক্ষেপের সর্বশেষ তথ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা মাস্কও নিয়ে এমন কথা বলেন।

গত মাসের শেষের দিকে চীনের উহান শহরে প্রাণঘাতি নভেল করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের পর তা বিশ্বকে আতঙ্কিত করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং চীনসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় সাড়ে ৫ শত মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দেশে অবস্থানরত চীনের নাগরিক ও উহান ফেরত বাংলাদেশের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা না পড়লেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে বহুল সংখ্যক মানুষ মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন। ফলে ৫০ টাকার মাস্ক এখন বিক্রয় হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ শত টাকায়। 

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘অনেকের মধ্যে কনফিউশন আছে মাস্ক ব্যবহার করবে কি করবে না। আমাদের দেশে এখনও নভেল করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। যারা চীন থেকে এসেছে তাদেরকেও আমরা আইসোলেশনে রেখেছি। সুতরাং সবার মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন নাই।’

কাদের মাস্ক ব্যবহার করা দরকার সে বিষয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘চীন থেকে আসা সন্দেহজনক ব্যক্তি যার জ্বর, কাশি, গলাব্যথার মতো উপসর্গ রয়েছে সে মাস্ক ব্যবহার করবে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সেবাদাতা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। যারা হোম আইসোলেশনে আছেন বা উহান থেকে যারা এসেছেন তাদের সংস্পর্শে যারা যাবেন তারা মাস্ক ব্যবহার করবেন। এছাড়া চিকিৎসক যারা আছেন তাদের মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।’

চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে এনে আশকোনায় হজক্যাম্পে রাখা কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নেই বলে আইইডিসিআরের পরিচালক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের হজক্যাম্পে যারা আছেন তাদের মধ্যে এ রোগের কোনো লক্ষণ-উপসর্গ নেই। তারা কেউ রোগী নয়, তারা সবাই সুস্থ। তারা মাস্ক ব্যবহার করেন। সুতরাং তাদের কাছ থেকেও রোগটি ছড়ানোর আশঙ্কা আমরা করছি না।’

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই এ ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়ায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আইইডিসিআরের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা সাত হাজার ৬৯৩ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনিং হয়েছে ১৩৬ জনের। এদের কারও শরীরেই করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়নি।

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি