ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

সুবর্ণচরে দরপত্র ক্রয়ে অনিয়ম, ঠিকাদারদের ক্ষোভ

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১১:৩৩, ৩১ মার্চ ২০২২

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দরপত্র বিক্রিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ঠিকাদার দরপত্র বিক্রির শেষ দিন সারাদিন বসে থেকেও দরপত্র ক্রয় করতে পারেননি বলেও অভিযোগ করেছেন। 

এ ঘটনায় সাধারণ ঠিকাদাররা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দরপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (৩০ মার্চ) সুবর্ণচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মার্চ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক দীপক রঞ্জন অধিকারী স্বাক্ষরিত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে সড়কের কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।

২৪ মার্চ থেকে দরপত্র বিক্রি শুরু হয় এবং বুধবার ৩০ মার্চ এই দরপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল।

কিন্তু একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ ও জেলা দুর্যোগ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের কার্যালয়ে গিয়ে দরপত্র ক্রয় করতে পারেন নি তারা। দুই কার্যালয়ের কর্মকর্তারা দরপত্র নিয়ে তালবাহানা সৃষ্টি করেন।

তারা আরও জানান, সর্বশেষ সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফল্লাহ খসরু ও চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম রাজীব এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দরপত্র বিক্রির শেষ দিনেও দরপত্র ক্রয়ে ব্যর্থ হন ঠিকাদাররা। শেষ দিনও কেউ যেন দরপত্র কিনতে না পারেন সেজন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে তাদের লোকজন ছিল।

এই বিষয়ে ঠিকাদার কামাল উদ্দিন, মোসলেহ উদ্দিন সোহেল ও সুলতান মাহমুদ বলেন, সুবর্ণচর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও জেলা দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক এবং দুই ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে নিজস্ব লোক ছাড়া কারো কাছে দরপত্র বিক্রি করা হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ খসরু ও চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরু ইসলাম রাজীবকে একাধিকবার ফোন করলে তারা কেউ ফোন ধরেন নি।

এ বিষয়ে জানতে সুবর্ণচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউছার আহমেদের ফোনে একাধিক কল করা হলে তিনিও ফোন ধরেন নি।

এ বিষয় জেলা দুর্যোগ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, তিনি দরপত্র বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না। উপজেলা থেকে জেলা কার্যালয়ে পাঠানোর কথা থাকলেও তারা পাঠাননি। উপজেলা থেকে দরপত্র না পাঠালে তার কিছুই করার বলেও জানান তিনি।

আরএমএ
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি