হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত রবিউল ইসলামের রেখে যাওয়া স্কুল
প্রকাশিত : ১৩:৫০, ১ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৪:২৫, ১ জুলাই ২০১৭
এক বছরেও শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি গুলশানে হলি আর্টিজান রেঁস্তোরায় জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশের সহকারি কমিশনার রবিউল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা। শহীদ রবিউলের আত্মত্যাগে গর্বিত মা, স্ত্রী ও ভাইয়ের ইচ্ছা, মানিকগঞ্জে তার রেখে যাওয়া স্কুল ঠিকভাবে পরিচালনা করা আর স্বপ্নের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলা। এ’জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
এখনো ছেলে রবিউল ইসলামের ছবি নিয়ে কান্নায় বুক ভাসান মা। আর বাবার মৃত্যুর এক মাস পর জন্ম নেয়া কামরুন নাহার রায়না জানেই না বাবার আদর কি। প্রথম শ্রেণির ছাত্র রবিউলের বড় ছেলে সাজেদুল করিম সমবয়সীদের বাবাকে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আর স্ত্রী উম্মে সালমা সন্তানদের খুশি রাখতে নিজের কষ্ট চাপা দিয়ে ভালো থাকার অভিনয় করেন। এভাবেই দিন কাটছে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের।
প্রতিবেশীরা জানান, রবিউল ছিলেন মানবতাবাদী। মায়ের দেয়া ২৬ শতক জমির উপর প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিজের গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একটি বিশেষায়িত বিদ্যালয়। নাম দেন বিকনিং লাইট অর্গানাইজেশন অব ম্যানকাইন্ড অ্যান্ড সোসাইটি- ব্লুমস। স্বপ্ন ছিল স্কুলটি আবাসিক করা এবং বৃদ্ধদের জন্য একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা।
রবিউলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চান তারা।
গত বছরের পহেলা জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান রেঁস্তোরায় জঙ্গি হামলায় নিহত হন পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
আরও পড়ুন