১৫ বছরের মাল্টিপল ফ্রি ভিসা পেলেন লুসি হল্ট
প্রকাশিত : ২২:৩৯, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:০৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
 
				
					মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের মায়া তুচ্ছ করে যুদ্ধাহত ব্যক্তিদের শুশ্রূষা করেছেন লুসি হল্ট। এ দেশে ৫৭ বছর ধরে মানুষের সেবা করেছেন। মানবদরদি এই ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের য়েকবার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করলেও নাগরিকত্ব পাননি।
এবার মানবদরদির ভিসা ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাকে ১৫ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মনিরা হকের স্বাক্ষর করা এ-সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি হয়েছে। শুক্রবার বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যকে ভিসা ফি মওকুফের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, একজন মানবদরদি নারীর জন্য এতটুকু করতে পেরে আমরা গর্বিত। এটা আমাদের জন্য আনন্দের।
উল্লেখ্য, ৮৭ বছর বয়সী লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের জন্ম যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বাবা জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট। দুই বোনের মধ্যে ছোট লুসি। তার বড় বোন রুত অ্যান রেভা ফেলটন স্বামী ও তিন ছেলে নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। লুসি ১৯৬০ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসেন। যোগ দেন বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনে। এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পড়াতেন। ২০০৪ সালে অবসর নেওয়ার পর তিনি আর দেশে ফিরে যাননি। বর্তমানে বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিশুদের ইংরেজি পড়ান। এর জন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেন না। শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহেরও কাজ করছেন তিনি। ৫৭ বছর ধরে ঘুরে ফিরে তিনি কাজ করেছেন যশোর, খুলনা, নওগাঁ, ঢাকা ও গোপালগঞ্জে। এখন এই দেশের মাটিতেই তিনি সমাহিত হতে চান। এটাই তার শেষ ইচ্ছা বলে জানিয়েছিলেন।
আর/টিকে
আরও পড়ুন
 
				        
				    






























































