ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৫তম অর্থনীতির দেশ হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:২৮, ১ নভেম্বর ২০১৭

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৫তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের মানুষ অনেক বেশি পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিদীপ্ত, তারাই একদিন আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বুধবার পিকেএসএফ উন্নয়ন মেলা-২০১৭-এর চতুর্থ দিনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে ‘বাংলাদেশ ইকোনমি: অ্যান ওভারভিউ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অনেক ধরনের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ থাকবে, এগুলোকে মোকাবেলা করে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালে চায়না এবং ভারত হবে যথাক্রমে বিশ্বের এক ও তিন নম্বর অর্থনীতির দেশ। তাই বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। 

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম। সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

আবদুল করিম তার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিভিন্ন নির্দেশনার কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ এখন ৩৫তম অর্থনীতির দেশ যা আমাদের জন্য একটি মাইলফলক।

তিনি বলেন, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ; দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখন স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে; তৈরি পোশাকখাত শিল্পে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়; এমন আরও বহু সাফল্য আমাদেরকে আশ্যস্ত করে তোলে। 

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএনএম)- এর নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে অর্থনৈতিক বড় শক্তি হচ্ছে আমাদের যুবশক্তি। এই যুবশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পারলে আমাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও আরেকটি বড় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং প্রযুক্তি খাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এছাড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারকে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। সেইসঙ্গে এই বিনিয়োগের সুবিধাগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সরকারকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

সিপিডি`র ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে আমাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে আরও বিস্তৃত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে নিজেদেরকে দেখতে চাইলে আমাদের মাথাপিছু আয় ১৬০২ ডলার থেকে ১২০০০ ডলারে উন্নীত করতে হবে। যা আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও অসম্ভব নয়।

সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর পর্ষদ সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, আমাদের সবাইকে আরও বেশি আশাবাদী হতে হবে। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করতে হলে সকলকে এর লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে পিকেএসএফ উন্নয়ন মেলা ২০১৭। ২৯ অক্টোবর শুরু হওয়া মেলা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি