ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ আগস্ট ২০২৫

৩ জেলায় সকাল থেকে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু, নিহতের সংখ্যা ১৩৮

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫০, ১৪ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৩৩, ১৪ জুন ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলাগুলোতে সকাল থেকে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এদিকে টেকনাকে নতুন করে পাহাড় ধসে মারা গেছে ২ জন। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৮ জনে। সেনাসদস্যসহ বেশ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে মৃত্যুর এমন মিছিলে পার্বত্যাঞ্চলে এখন শোকের মাতম। নিখোঁজদের সন্ধ্যানে চলছে অভিযান। বুধবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয় পাহাড়ে পাহাড়ে।
বান্দরবানে নিঁেখাজ মা কামরুন্নাহার ও মেয়ে সুফিয়ার এখনো সন্ধান পায়নি উদ্ধার কর্মীরা। পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে আহাজারি স্বজনদের। ( মা ও মেয়ের মৃতদেহ খুজে পেয়েছে উদ্ধারকর্মীরা দুপুর ২ টার দিকে )

দেহগুলো প্রায় ৩০ফুট মাটির নিচে চলে গেছে বলে জানায় উদ্ধার কর্মীরা। তবে মৃতদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দমকল বাহিনীর কমর্কর্তা।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে আসা উদ্ধারকারী বিশেষ দল সকাল থেকেই রাঙ্গামাটি উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এখনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি নিখোঁজ এক সেনাসদস্যের। ধসে পড়া মাটির নিচে এখনও অসংখ্য মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে জানান তারা।
প্রাণহানির পাশাপাশি রাঙামাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার, যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ আশপাশের সব জেলার সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে রাঙামাটির।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাজানগর ও ইসলামপুরেও সকাল থেকে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। রাজানগর এলাকায় উদ্ধার করা হয় একজনের মরদেহ।
এদিকে ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের টেকনাফে মঙ্গলবার মধ্যরাতে নতুন করে ধসে পড়ে একটি পাহাড়ের কিছু অংশ। মাটি চাপা পড়ে মারা যায় বাবা ও মে। সকালে স্থানীয়রা তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে বান্দরবানে প্লাবিত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছে মানুষ। তবে রুমা ও থানচিসহ কয়েকটি উপজেলার সাথে যান চলাচল ্স্বাভাবিক হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রান সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি