৩ পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬
প্রকাশিত : ১৯:৪৪, ১৪ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৫০, ১৪ জুন ২০১৭

পাহাড় ধসের নিহতের সংখ্য্ াবেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬ জনে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে ৩৪, রাঙ্গামাটিতে ১০১, বান্দরবানে ৯ ও কক্সবাজারের টেকনাফে ২ জন মারা গেছে। এখনো নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্থাণীয়রাও। হতাহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পার্বত্যাঞ্চলের পরিবেশ।
টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে মৃত্যুর এমন মিছিলে পার্বত্যাঞ্চলে এখন শোকের মাতম। নিখোঁজদের সন্ধ্যানে এখনো চলছে অভিযান। বুধবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয় পাহাড়ে পাহাড়ে।
বান্দরবানে নিঁেখাজ মা কামরুন্নাহার ও মেয়ে সুফিয়ার মৃতদেহের সন্ধান পায় উদ্ধার কর্মীরা।
দেহগুলো প্রায় ৩০ফুট মাটির নিচে চলে গিয়েছিলো বলে জানায় উদ্ধার কর্মীরা। নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে আসা উদ্ধারকারী বিশেষ দল রাঙ্গামাটিতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এখনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি নিখোঁজ এক সেনাসদস্যের। ধসে পড়া মাটির নিচে এখনও অনেকে মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে জানান তারা।
প্রাণহানির পাশাপাশি রাঙামাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার, যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ আশপাশের সব জেলার সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে রাঙামাটির।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাজানগর ও ইসলামপুরেও বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। উদ্ধার করা হয় দুই জনের মরদেহ।
এদিকে ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের টেকনাফে মঙ্গলবার মধ্যরাতে নতুন করে ধসে পড়ে একটি পাহাড়ের কিছু অংশ। মাটি চাপা পড়ে মারা যায় বাবা ও মে। পরে স্থানীয়রা তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে বান্দরবানে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছে মানুষ। তবে রুমা ও থানচিসহ কয়েকটি উপজেলার সাথে যান চলাচল ্স্বাভাবিক হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রান সহায়তা দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন