ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

৬০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি চায় বিজিএমইএ

প্রকাশিত : ১৭:৫৬, ২৭ মে ২০১৯

দেশের তৈরি পোশাক খাতের আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আগামী ৫ বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

সোমবার (২৭ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে উল্লেখিত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখার দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি ড. রূবানা হক। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এবং বিকেএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনসুর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, সব ধরনের পোশাক রপ্তানির উপর রপ্তানি মূল্যের ৫ শতাংশ হারে ভর্তুকির অর্থ একক প্রণোদনা হিসেবে বছরে ১১ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা সরকার পোশাক রপ্তানিকারকদের দিতে পারে। একইভাবে আগামী ৫ বছর ৫৮ হাজার ৬২০ কোটি টাকার প্রণোদনা অব্যাহত রাখার দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, রফতানি বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রতিযোগী মুদ্রার সাথে পাল্লা দিতে আমাদের মুদ্রার মান মার্কেট ম্যাশিনিজম এর ভিত্তিতে নির্ধারিত হওয়া যৌক্তিক। রফতানি খাতগুলোর জন্য ডলার প্রতি অতিরিক্ত ৫ টাকা বিনিময় হার প্রদান করা হলে আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা প্রায় ৬ শতাংশ বাড়বে।

এছাড়া যেসব কারখানা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপী নয়, তাদেরকে উৎপাদন কাজে ফিরে যাওয়া এবং ব্যবসা সচল রাখার জন্য সুযোগ হিসেবে ঋণ পুন:তফসিলীকরণ িএর মেয়াদ দ্বিগুণ করে দেয়া যেতে পারে। এতে করে কর্মসংস্থান বাড়বে, সর্বোপরি, অর্থনীতি সুফল ভোগ করবে। এ জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের প্রত্যাশা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় বিজিএমইএ’র তুলে ধরা ১৪ দফা সুপারিশগুলোর মধ্যে আরও আছে- স্থানীয় বাজার হতে সংগৃহীত সব পণ্য ও সেবাগুলোকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা, আমদানিকৃত পণ্যসমূহের বিপরীতে দাখিলকৃত অঙ্গীকারনামা বিজিএমইএ হতে জারীকৃত প্রত্যয়ন পত্রের ভিত্তিতে অবমুক্ত করা এবং কাস্টম বন্ড কমিশনারেট হতে প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ করার বিধানটি বাতিল করা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইকুইপমেন্ট শুল্কমুক্তভাবে আমদানির সুবিধা দেওয়া।

পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, পোশাক শিল্প বর্তমানে অত্যান্ত সংকটাপন্ন। ২২টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে ১০৬৮৫ জন শ্রমিক বেকার হয়েছেন। পোশাক শিল্পের এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারকে অবশ্যই এ খাতে প্রণোদনা দিতে হবে।

তবে বেকার শ্রমিকরা অন্য কারখানায় কাজ পেয়ে যাবেন বলে আশ্বস্থ করে তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে শ্রমিকদের আবাসনসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দিতে অর্থমন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছি।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি