ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

৭০ বছর দাম্পত্য জীবন শেষে বাধ্যতামূলক বিচ্ছেদ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৯, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭

৭০ বছর এক ছাদের নিচে কাটিয়েছেন। থেকেছেন পরষ্পরের সান্নিধ্যে। একে অপরের সুখে-দুঃখে, আনন্দে-বেদনায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। 

সেই ১৯৫০ সালে গাঁটছড়া বাঁধার পর একটি বারের জন্যও পরষ্পরকে ছেড়ে কোথাও যাননি কেউ। তবে এবার রাষ্ট্রের কঠোর আইনে বাধ্য হয়েই প্রথমবারের মতো একে অপরকে ছাড়তে হচ্ছে ওই দম্পত্তির সুখের সংসার।

ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার নিউ ব্রানসোয়িক এর পার্থ-অ্যান্ডোভারে। হারবার্ট গুডাইন (৯১) নামের ওই বৃদ্ধকে বাড়ি ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে হারবার্ট ও তাঁর স্ত্রী আদ্রি গুডাইন আপত্তি জানালেও রাষ্ট্রীয় সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, তাদেরকে অবশ্যই পরষ্পরের সঙ্গ ছাড়তে হবে। শুধু তাই নয়, সঙ্গ ছেড়ে হারবার্ট গুডাইনকে একটি নার্সিং হাউজে উঠতে আদেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে বিচ্ছেদের আগে একসঙ্গে বড়দিন পালন করার জন্য আবেদন জানায় তারা। তবে ওই সংস্থা বলছে আইনের বরখেলাপ করে তাদেরকে একসঙ্গে থাকতে দেওয়া যাবে না। এ ঘটনাটি ওই দম্পত্তির মেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করলে, তা ভাইরাল হয়ে যায়। ইতোমধ্যে পোস্টটি ১৫ হাজার বারেরও বেশি শেয়ার হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ওই দম্পত্তির কন্যা ডায়ানা ফিলিপস লিখেন, তারা যখন গতকাল কথা বলছিলেন, মাকে কাঁদতে শুনেছি। বাবাকে অঝোরে কাঁদতে দেখেছি। মা ওই সময় বাবাকে বলছিলেন, এবারের বড়দিনটি আমাদের সবচেয়ে জগণ্য বড়দিন হতে যাচ্ছে। তারা কেন ছুটির দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করছে না ?

ডায়ান পিলিপস বলেন, কয়েকদিন আগে প্রাদেশিক বিভাগ থেকে একটি চিঠি আসে। ওই চিঠিতে বলা হয়, বাবার শরীরের অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাই তাকে দ্রুত অন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী সেবাকেন্দ্রে সরিয়ে নিতে হবে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহ সময় চাইলেও, তারা পরে জোর করে এই আদেশ চাপিয়ে দিয়েছে।

এদিকে আরেক ফেসবুক বার্তায় ওই সেবাকেন্দ্রের একজন লিখেন, আমাদেরকে অবশ্যই রাষ্ট্রের আইন মানতে হবে। সত্যিকারার্থে তাকে ওই বাড়িতে থাকতে না দুঃখের। কিন্তু আমি আইনের লঙ্ঘন করতে পারি না। তবে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, এটি এখন আমার হাতের মধ্যেও নেই।

সূত্র : বিবিসি

/ এমজে / এআর

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি