ঢাকা, রবিবার   ০৮ জুন ২০২৫

ইলন মাস্কের সাথে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৪, ৮ জুন ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইলন মাস্কের সাথে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। মাস্কের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে বিরোধ প্রকাশ হওয়ার পর ট্রাম্পের দিক থেকে আসা সর্বশেষ মন্তব্য এটি।

শনিবার এনবিসি নিউজকে এ কথা বলেছেন তিনি। 

তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাদের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে বলে তিনি মনে করেন কি-না। এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ইলন মাস্কের সাথে তার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে।

এরপর তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি এ সম্পর্ক আবার জোড়া লাগাতে চান কি-না। তখন তিনি বলেন 'না'।

মূলত প্রেসিডেন্টের কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিলের প্রকাশ্য সমালোচনার পর প্রযুক্তি বিষয়ক এই ধনকুবেরের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্কের অবনতি হয়।

হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে রিপাবলিকানরা অল্প ব্যবধানে একটি বিশাল কর ও ব্যয় বিল পাস করে এবং গত মাসে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বড় জয় এনে দেয়। এটি এখন সিনেটে আছে।

এর আগে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন ইলন মাস্ক। পরে তিনি হোয়াইট হাউজে কাজ করার সুযোগ পান।

রিপাবলিকানদের একটি বড় অংশই এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে সমর্থন দিচ্ছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ইলন মাস্ক বেশি উত্তেজিত হয়ে গেছেন এবং সম্ভবত ফিরে আসার জন্য তাকে আর কখনোই স্বাগত জানানো হবে না।

ভ্যান্স একটি পডকাস্টে বলেছেন, টেসলা ও স্পেসএক্স সিইও'র প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করা ছিলো একটি 'বড় ভুল'।

কয়েক সপ্তাহ ধরে মাস্ক আইনে স্বাক্ষর করা নিয়ে প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করছেন এবং তিনি বিলটিকে 'বড় সুন্দর বিল' হিসেবে কটাক্ষ করেছেন।

তিনি বলেছেন, বিলটি পাশ হলে জাতীয় বাজেটে এটি কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ঘাটতি যোগ করবে এবং তিনি সরকারের দক্ষতা বিভাগের কাজে ও সরকারের ব্যয় কমানোর জন্য যে কাজ করেছেন সেটি হেয় করা হবে।

মাস্ক ১২৯ দিন এ বিভাগে কাজ করার পর তা ছেড়ে দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি বিলটির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তবে সরাসরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা তিনি করেননি।

বৃহস্পতিবার অবশ্য ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি মাস্কের আচরণে 'হতাশ'।

মাস্ক এর জবাব দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ। তিনি বলেছেন, তিনি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে হারতেন। একই সঙ্গে তিনি প্রয়াত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইন সম্পর্কিত অপ্রকাশিত ফাইলগুলোতে ট্রাম্পের নাম থাকার ইঙ্গিত দেন।

পরে তিনি পোস্টগুলো ডিলিট করেছেন এবং এপস্টাইনের আইনজীবীরাও এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

পরে নিজের সামাজিক মাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন যে মাস্ক 'পাগল' হয়ে গেছে। একটি পোস্টে তিনি ফেডারেল সরকারের সঙ্গে মাস্কের চুক্তি বাতিলের হুমকি দেন।

এনবিসি নিউজকে ট্রাম্প আরও বলেছেন, মাস্ক 'প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রতি অসম্মানজনক' আচরণ করেছেন।

"আমি মনে করি এটা খুবই খারাপ। কারণ তিনি অসম্মান করেছেন। আপনি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়কে অসম্মান করতে পারেন না," ট্রাম্প বলেছেন।

মাস্ক বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে প্রায় আড়াইশ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তিনি কয়েকজন ট্রাম্প বিরোধীকে সমর্থন জানাতে পারেন।

আগামী নির্বাচনে ইলন মাস্ক ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে সমর্থন দিতে পারেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন 'তাকে মারাত্মক পরিণতির মুখে পড়তে হবে'।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি