ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে রেমিট্যান্স

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১০:৩৪, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | আপডেট: ১০:৩৪, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

নির্বাচনী বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা মন্থর হলেও চিন্তার কিছু নেই। তবে হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ এবং ডলারের দামের ক্ষেত্রে ব্যাংক ও খোলাবাজারের মধ্যকার পার্থক্য কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। তাগিদ দক্ষ কর্মী প্রেরণেরও। এদিকে, চলতি মাসে উর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে রেমিট্যান্স। প্রথম ১৩ দিনেই এসেছে ৭৮ কোটি ১২ লাখ ডলার। 

গেল বছর রেকর্ড ১১ লাখ ৩৬ হাজার কর্মী গেছেন বিদেশে। আর চলতি বছরের প্রথমার্ধ অর্থাৎ জুন পর্যন্ত গেছেন প্রায় ৬ লাখ ১৮ হাজার। এধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড হবে।

কিন্তু জনশক্তি রপ্তানির চিত্রের সাথে মিলছে না রেমিট্যান্স প্রবাহ। যে হারে জনশক্তি রপ্তানি বাড়ছে, সে তুলনায় রেমিট্যান্স আসছে না। এছাড়া অবৈধ কর্মী এবং অনিবাসী বাংলাদেশি মিলিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ কাজ করছেন বিভিন্ন দেশে। তবে এসব মানুষের অবদানও দেখা যাচ্ছে না রেমিট্যান্সে।  

প্রবাসী পারভেজ আহমেদ বলেন, “যারা প্রবাসে অবৈধভাবে বসবাস করে তাদের আকামা নেই। তারা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেনা। আবার অনেকের কাজে চাপ, সপ্তাহের ৭ দিনই কাজ করতে হয় সেজন্য ব্যাংকে যাওয়ার সময় হয়না।”

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এ সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন মাত্র ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। যদিও চলতি মাসে রেমিট্যান্স বাড়ার ইঙ্গিত মিলছে। এ মাসের প্রথম ১৩ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৮ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।   

এদিকে, বৈধপথে প্রত্যাশিত রেমিট্যান্স না আসার জন্য হুন্ডিকে দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা। আর হুন্ডি বাড়ার পেছনে খোলাবাজার ও ব্যাংক-ব্যবস্থায় ডলারের দামে ব্যাপক পার্থককেও কারণ বলছেন তারা। 

অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, “আনুষ্ঠানিক যে বিনিময় হার এবং অনানুষ্ঠানিক যে বিনিময় হার এই দুইয়ের মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। প্রায় ৫-৬ টাকার পার্থক্য। দ্বিতীয়ত হুন্ডির চাহিদা বেড়ে গেছে।”

নির্বাচনী বছরে বিনিয়োগে কিছুটা সতর্ক থাকেন প্রবাসীরা। তবে নির্বাচনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়। তাই এই মুহূর্তে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা গতি হারালেও চিন্তার কারণ দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।  

ড. আতিউর রহমান বলেন, “রেমিট্যান্সের সাথে যদি পেনশন ভাতা, স্কুলের ছেলেমেয়েদের ভাতা এবং বিমান বন্দরে যাবার সুযোগ এগুলো প্রণোদনা যদি একসঙ্গে যুক্ত করতে পারি তাহলে প্রবাস থেকে যারা অর্থ পাঠাচ্ছেন তারা আরও বেশি আগ্রহী হবেন।”

রেমিট্যান্স প্রবাহ গতিশীল করতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ দেন এই অর্থনীতিবিদ। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি