ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন   

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৮, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। 

রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ানের সঞ্চালনায় এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের সদস্যরা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র করে সকল বৈষম্য দূর করা সহ তিনটি দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো- প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভিসি কোটা বাতিল করা, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটা বাতিল করা এবং পোষ্য কোটা সংস্কার করা। 

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, আমাদের দাবি ছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। এতো বড় একটা পরিবর্তন হলো, অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য এখনো রয়ে গেছে। ভিসি কোটা একটা লজ্জাজনক ব্যবস্থা। পোষ্যরা মনে করেন তারা উত্তরাধিকার সুত্রে সিট পেয়ে যাচ্ছেন। আমাদের উদ্দেশ্য মেধাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা। 

তিনি আরও বলেন, যারা ১৫ জুলাই  ছাত্রলীগের হামলার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বড় একটা অংশ এসেছে কোটা থেকে। তারা মেধার মুল্য বোঝে না। এজন্য এখানে এসে অপরাজনীতি করেন তারা। যেখানে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে ৭০ থেকে ৭৮ পর্যন্ত নম্বর পেতে হয়, সেখানে ভিসি, পোষ্য কোটায় ৪০ নম্বর পেলেই ভর্তি হতে পারে। তাই আমরা চাই আগামী ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বাতিল করা হোক। শহীদদের সাথে বেইমানি না করে এই কোটা সংস্কার করা হোক।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, যে কোটার জন্য দেশে এতো বড় একটা বিপ্লব ঘটে গেলো, এখনো সেই কোটার জন্য আমাদেরকে আবার দাঁড়াতে হচ্ছে। এটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, দেশের জন্য লজ্জাজনক। আমরা প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই অতিসত্বর এই কোটা পদ্ধতি বাতিল ও সংস্কার করা হোক। তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি নিয়ে যে সমালোচনা করা হয়, তারও বৈষম্য দূর করা হোক। 

সমাপনী বক্তব্যে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাব বলেন, একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পান না, অন্যদিকে মাত্র ২৬ নম্বর পেয়ে পোষ্য কোটাধারীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। এই বৈষম্য জাহাঙ্গীরনগরে চলবে না। যদি পোষ্য কোটা রাখতে হয়, তাহলে যৌক্তিক সংস্কার করে রাখতে হবে। আমরা দেখেছি এই পোষ্য কোটায় যাঁরা ভর্তি হন, তাঁরা কীভাবে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালান। তাঁরা জাহাঙ্গীরনগরের পরিবেশে বেড়ে উঠে, ক্যাম্পাসের সব বিষয়ে তাঁদের আগে থেকে ধারণা থাকে এবং শিক্ষার্থী হয়ে তাঁরা বিষয়গুলো কাজে লাগান। তাঁরা মাদক সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটসহ সব ধরনের সিন্ডিকেটে জড়িত থাকেন। তিনি দ্রুত কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানান।

এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি