বর্তমান রাষ্ট্রপতিই আওয়ামী লীগের প্রার্থী
প্রকাশিত : ২২:৪৯, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২৩:১৪, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদই বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে থাকছেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড বুধবার রাতে তাকে মনোনীত করেছে। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ এর সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তিনিই দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে থাকছেন।
বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষে সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাত ৮টায় গণভবনে বোর্ডের সভা শুরু হয়। শেষ হয় রাত পৌনে ৯টায়।
সভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আবদুল হামিদের নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আর এতে সমর্থন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এরপর সভায় উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আবদুল হামিদকেই আগামী মেয়াদের জন্য প্রার্থী করা হয়।
১৯৯১ সালের পর সব রাষ্ট্রপতিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও সরকারি দলের মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এ কারণ দলটির মনোনীত প্রার্থীই হবেন দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দুবার দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিলে।
তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। সে হিসেবে তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
যদিও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করার কথা ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিল। মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাইয়ের সময় ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট।
যে কারণে প্রার্থী করা হলো
দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ চায় ক্ষমতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে। নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবেন। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কোনো ক্ষমতা থাকবে না। এ সময় রাষ্ট্রপতির পদটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রপতির অধীনে। ফলে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত সৈনিক। এ কারণে তাকেই প্রার্থী করা হয়েছে।
এসি/টিকে
আরও পড়ুন