ঢাকা, সোমবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাওয়াশ আফগানিস্তান, ৭ বছর পর প্রতিশোধ টাইগারদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২২, ৬ অক্টোবর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। ২০১৮ সালে ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। সাত বছর পর ওই হোয়াইটওয়াশের প্রতিশোধ নিল টাইগাররা। 

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আফগানদের যথাক্রমে ৪ ও ২ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগাররা। আর শেষ ম্যাচে টাইগারদের ৬ উইকেটে হারল আফগানরা। ফলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল জাকের আলির দল। 

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার রাতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভারে ২০ রান তুলে ফেলে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। 

তৃতীয় ওভারের শুরুতে জাদরানকে ৭ রানে থামিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে গুরবাজকে ১২ রানে বিদায় করেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। 

দুই ওপেনারের পর পাওয়ার প্লের শেষ বলে তৃতীয় উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে ১১ রানে বোল্ড করেন পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। 

৩৯ রানে ৩ উইকেট পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সেদিকুল্লাহ আতাল ও দারউইশ রাসুলি। ২৫ বলে ৩৪ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ২৮ রানে সাইফুদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হন আতাল। 

দলীয় ৭৩ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আতাল ফেরার পর মিনি ধস নামে আফগানিস্তানে ব্যাটিংয়ে। ২৫ রানে ৫ ব্যাটারকে হারালে ৮ উইকেটে ৯৮ রানে পরিণত হয় আফগানরা।

দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়া আফগানিস্তানকে রক্ষা করেন রাসুলি ও মুজিব উর রহমান। নবম উইকেটে ২২ বলে ৩৪ রান যোগ করে আফগানিস্তানকে লড়াকু পুঁজির পথ দেখান তারা। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ বলে ৩২ রান করে রাসুলি ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরলেও আফগানদের ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন মুজিব ও বশির আহমাদ। শেষ উইকেটে ১০ বলে অবিচ্ছিন্ন ১১ রান যোগ করেন তারা। 

৪টি চারে ১৮ বলে ২৩ রানে মুজিব ও বশির ২ রানে অপরাজিত থাকেন। 

বাংলাদেশের সাইফুদ্দিন ১৫ রানে ৩টি, নাসুম-তানজিম ২টি করে এবং শরিফুল-রিশাদ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

জবাবে ৪ ওভারে ২৪ রান তুলে বাংলাদেশকে ভাল শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান। ১টি করে চার-ছক্কায় ১৬ বলে ১৪ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ইমন।

ইমন ফেরার পর রানের গতি বাড়ান তানজিদ ও তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসান। ৩৯ বলে ৫৫ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফিরেন একবার জীবন পাওয়া তানজিদ।

দলীয় ৭৯ রানে তানজিদের বিদায়ে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক জাকের আলি। সাইফের সাথে ১৯ বলে ৩০ রানের জুটিতে ১৩তম ওভারে বাংলাদেশের রান ১শ’ পার করেন জাকের। 

১৪তম ওভারের শেষ দুই বলে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে ম্যাচে ফেরার পথ দেখান স্পিনার মুজিব উর রহমান। জাকের ১০ ও শামীম হোসেন খালি হাতে বিদায় নেন।

১০৯ রানে জাকের-শামীম ফেরার সময় শেষ ৬ ওভারে ৩৫ রান দরকার পড়ে বাংলাদেশের। পঞ্চম উইকেটে ২৪ বলে ৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১২ বল হাতে রেখে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সাইফ ও নুরুল হাসান। 

৩২ বলে টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাইফ। তার ৩৮ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ৭টি ছক্কা ছিল। নুরুল ৯ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।

আফগানিস্তানের মুজিব ২ উইকেট নেন।

আগামী ৮ অক্টোবর থেকে আবুধাবিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি