ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৪ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও উদ্বেগ রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২২, ১৩ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১১:২৩, ১৩ আগস্ট ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

গত বছরের আগস্ট মাসে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে তবে এখনো কিছু উদ্বেগ রয়ে গেছে। দেশের ২০২৪ সালের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার–বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং পুলিশ আর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর গত বছরের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতি শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘প্রধান উপদেষ্টা’ করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন। এরপরে আগস্ট মাসে কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। তবে সার্বিকভাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে, যদিও কিছু উদ্বেগ রয়ে গেছে।

এতে আরও বলা হয়, মানবাধিকার সংস্থা এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জুলাই এবং আগস্ট মাসে সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দ্বারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলি নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করেছে এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করার জন্য তার সাধারণ বিচার ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয়কেই ব্যবহার করেছে।

মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে বলা হয়, অতীতের সরকারের সময়ে নির্বিচারে বা বেআইনি হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, যার মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অন্যায্য গ্রেপ্তার বা বিচার, এবং সেন্সরশিপ, শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ; শ্রমিক কর্মী বা ইউনিয়ন সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হুমকি; এবং সবচেয়ে খারাপ ধরণের শিশুশ্রমের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিল।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনে জুলাই ও আগস্টে সাবেক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য প্রতিবেদন ছিল, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত এবং শাস্তি দেয়ার জন্য খুব কমই বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পূর্ববর্তী সরকারের এমপি-মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি