মেডিকেল পরীক্ষায় খাগড়াছড়িতে সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি
প্রকাশিত : ১৩:১৩, ১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৩:১৫, ১ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার সাত দিন পর ডাক্তারি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। এতে আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি। আলামত পরীক্ষার ১০টি সূচকের সব কটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদের কাছে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরীক্ষায় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর শরীরের ভেতরে ও বাইরে ধর্ষণের কোনো চিহ্ন মেলেনি।
মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বাধীন খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. জয়া চাকমা বলেন, ‘ধর্ষণের আলামত শনাক্ত করার ১০টি সূচকের সবগুলোই স্বাভাবিক পাওয়া গেছে।’
প্রতিবেদনে তার সঙ্গে স্বাক্ষর করেছেন আরও দুই চিকিৎসক ডা. মীর মোশারফ হোসেন ও ডা. নাহিদা আক্তার।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. ছাবের আহমেদ জানান, প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডপ্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে সিভিল সার্জন বলেছেন, ‘ওই ছাত্রীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।’
২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে সদর থানায় মামলা করেন। পর দিন ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার পর জুম্ম ছাত্র-জনতা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ ডাকে। তবে দুর্গাপূজা ও প্রশাসনের আশ্বাসে তা আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
গত কয়েকদিনের সংঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। সহিংসতায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি অফিস, দোকানপাট, বসতঘর, গুদাম ও মোটরসাইকেল। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন