ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫

শেকৃবি’র রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা

শেকৃবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ১১:২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১১:২৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হওয়ায়  দীর্ঘ এক মাস যাবৎ অভিভাবকহীন প্রশাসন। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন অনেক শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীরা। এ সমস্যা নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর আগে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ সকল প্রকার কাজ স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালটির। উপাচার্যের স্বাক্ষর ব্যতীত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম। 

এমতাবস্থায় সমস্যা দূরীকরণে গত ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক আদেশে উপাচার্যের পদ শূন্য থাকায় পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত শেকৃবির রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেয়া হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সিনিয়র শিক্ষক থাকতেও রেজিস্ট্রারকে এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিভিন্ন বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।

বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। 

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শেকৃবির রেজিষ্ট্রার যিনি শুধুমাত্রই একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উনাকে ভিসির দায়িত্ব পালন করার আদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহার করে অতিসত্বর একজন স্বনামধন্য প্রফেসরকে উপাচার্য নিয়োগ প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

জবি শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও নিরলস পরিশ্রমে দেশকে বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখন একটি মহল তাঁর অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও অসাধু উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ ধরনের নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করবার অপচেষ্টায় লিপ্ত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এ সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

শেকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকদের জানান, ‘রুটিন ভিসি শুধু বেতনের জন্য স্বাক্ষর করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন না। তারপর রেজিস্ট্রারকে এ রকম দায়িত্ব প্রদান করায় শিক্ষকরাও বিব্রত। সংকট নিরসনে উপাচার্য, উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ তিনটি পদে স্থায়ীভাবে (চার বছর মেয়াদে) নিয়োগ প্রদান করা জরুরি।’

তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শেকৃবিতে কর্মরতদের মধ্য থেকে এসব পদে নিয়োগ দেওয়া উচিৎ।’ 

রুটিন ভিসি ও রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেতন ভাতার কাগজে স্বাক্ষর করা ও দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নিতে আমাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। কোনো নীতিমালা প্রণনয়ন আমার কাজ না।’

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি