মুরাদনগরে মা ও দুই সন্তানকে হত্যা: আরো ছয়জন গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১৬:৫৩, ৫ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে মা ও তার দুই সন্তানকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আরো ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকার বনশ্রী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, তিন খুনের ঘটনায় ছয়জনকে ঢাকার বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি জানান, ঘটনার বিস্তারিত বিকেল ৫টায় ঢাকার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।
এর আগে এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আলোচিত এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত রুবি আক্তারের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার পর ওইদিন রাতেই সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়া আসামিরা হলেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।
জানা গেছে, এজাহারে আকবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ, ওয়ার্ড মেম্বার বাচ্চু মিয়া, বাছির মিয়া, বক্কর মেম্বার, রবিউল আওয়াল, শাহআলম ও আনু মেম্বারসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কারিশমা, পারুল, নার্গিস ও রহিমা বেগম নামে চারজন নারীও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসী একটি মোবাইল ফোন চুরি ও মাদক ‘ব্যবসার’ অভিযোগ তুলে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতরা হলেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)।
ঘটনার দিন সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে নিহতদের পরিবারের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে মারধর বলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে জড়ো করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এসএস//
আরও পড়ুন