মাইলস্টোন শিক্ষার্থী মাহিয়ার দাফন সম্পন্ন, শোকে স্তব্ধ পরিবার
প্রকাশিত : ১২:১৪, ২৫ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ চুয়াডাঙ্গার মেয়ে মাহিয়া তাসনিম মায়া সিএমএইসের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে। তার মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের মা, মামা, নানা ও প্রতিবেশীরা। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল আটটায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মাহিয়ার বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা হলেও তার নানার বাড়ি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার জয়পুরে দাফন করা হয়েছে। মাহিয়ার বাবা ইঞ্জিনিয়ার মহাম্মদ আলী প্রবাসে থাকাকালিন পাঁচ বছর আগে মারা যান। মা আফরোজা খাতুন বিউটি সেই থেকে বাবার বাড়ি জয়পুরে অবস্থান করেন।
তবে বাবা মারা যাবার পর পরিবারের সাথে উত্তারার একটি ফ্লাটে বসবাস করতো মাহিয়া। সে মাইলস্টোন কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এদিকে শুক্রবার ভোরে মাহিয়ার মরদেহ মুজিবনগর উপজেলার জয়পুর গ্রামে পৌঁছালে পরিবার-পরিজন ও গ্রামবাসীর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের মা, মামা, নানা ও প্রতিবেশীরা।
শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন, স্বজন ও গ্রামবাসীরা।
মাহিয়ার মামা তারিকুল ইসলাম বলেন, বিমান দুর্ঘনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যাই। তার আগে উদ্ধার কর্মীরা মাহিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মাহিয়ার কোচিং ছিলো, বিমান দুর্ঘটার সময় দৌড় দিয়ে চলে আসার সময় দগ্ধ হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় গতকাল মাহিয়া মারা গেছে।
মাহিয়ার নানা নজরুল ইসলাম জানান, নাতনিকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর আমরা আর তাকে দেখতে পাইনি। ডাক্তারদের জিজ্ঞাসা করেল বলতেন ভাল আছে। হাসপাতালের আইসিইউতে থাকায় আমাদের দেখতে দেয়নি। বৃহস্পতিবার বিকালে ডাক্তার জানায় তাকে বাাঁচানো যায়নি।
মাহিয়ার মা আফরোজা খাতুন বিউটি বিমান বাহিনীর উপর ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, প্রশিক্ষণ বিমান কেন আবাসিক এলাকার উপর দিয়ে উড়ালো? দুর্ঘটনায় আমার মেয়ে মারা গেল। তারা কি আমার মেয়ে ফেরত দেবে? তারা জঙ্গল বা সমুদ্রের উপর দিয়ে চালাতে পারতো। আপসোস আমার মেয়ের আশা আমি পূরণ করতে পারলাম না।
এই অকাল মৃত্যুর ঘটনায় মাহিয়া তাসনিম মায়ার নানাবাড়ি জয়পুরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যু এলাকাবাসীর হৃদয়ে গভীর দাগ কেটেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন