সিংড়ায় ২ কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, অতঃপর...
প্রকাশিত : ২১:৪৩, ১০ জানুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ২২:১০, ১০ জানুয়ারি ২০২১
 
				
					নাটোরের সিংড়ায় ছাগল চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে সাগর (১৬) ও অন্তর (১৭) নামে দুই কিশোরকে পিটিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে তাদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিলদহর বাজারে এই নির্যাতনের ঘটনার পর থেকে ওই দুই কিশোরের কোনও খোঁজ পাচ্ছেনা তাদের পরিবার।
অভিযুক্ত দুই যুবক স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফা সরদার বিলদহর গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে ও সোহেল হোসেন কালিনগর গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে। তারা বিলদহর বাজারে প্রকাশ্যে ওই দুই কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে। এসময় স্থানীয় যুবক রিপন ও তার মা প্রতিবাদ জানালে তাদেরও পিটুনী দেয় ওই দুই মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মোস্তফা সরদার ও সোহেল হোসেন এলাকা থেকে উধাও হয়।
নির্যাতিত দুই কিশোরের মধ্যে সাগর পার্শ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার হরদমা গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর আসাদের ছেলে এবং অন্তর শাহিন ইসলামের ছেলে। দু’জনই স্কুল ছাত্র।
সাগরের মা ও স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে সাগর ও অন্তর কাঁচা বাজার করতে বিলদহর বাজারে যায়। পথে বিলদহর গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফা ও কালিনগর গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে সোহেল তাদের ধরে মারপিট করে এবং তাদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বলা হয়- তারা এলাকার একটি ছাগল চুরি করেছে, তাই তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
খবর পেয়ে সাগরের মা সেখানে ছুটে গিয়ে তার সন্তানকে খুঁজে পাননি। সাগরের মা বলেন, তার ছেলেকে বিলদহর হাটে পাঠিয়েছিলেন বাজার করার জন্য। সে কখনও ছাগল চুরি করতে পারেনা। তিনি তার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী জানায়, মোস্তফা সরদার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা উত্তোলন করে। সোহেল মাদক ব্যবসায়ী। এলাকার সকলেই তাদের মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী হিসেবে জানে। সেহেলের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে জানান তারা।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এনএস/
আরও পড়ুন
 
				        
				    






























































