ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪

খুলছে না কুড়িগ্রামের ৭৮টি স্কুল: ভাঙনে বিলীন ১৮টি

আতাউর রহমান বিপ্লব, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত : ১০:১৪, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাইকেরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন থেকে এখন মাত্র ২০ ফুট দূরে দুধকুমার নদীর তীর। নদীতে চলছে ভাঙ্গন, তাই বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রসহ সব মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়েছে, জরাজীর্ণ অবস্থায় ভবনে তালা দিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে তাই আনন্দ-উচ্ছ্বাস নেই তাদের মাঝে।

এদিকে গঙ্গাধর নদীর ভাঙ্গনের মুখে নাগেশ্বরী উপজেলার রঘুরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও।  স্কুলের প্রধান শিক্ষক লস্কর আলী বলেন, স্কুল ঘর ভেঙ্গে যা মালামাল পাওয়া গেছে, তা রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা না পাওয়ায়, এখন এসব মালামালও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাস ইউপি চেয়ারম্যান আকমল হোসেন বলেন, প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেলে সন্তানদের পড়ালেখা বন্ধ হবে। একইসঙ্গে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও করেন তিনি।

প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আজ রোববার খুলেছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে কুড়িগ্রাম জেলার ৭৮টি প্রাথমিক স্কুল খোলা হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, করোনাকালে নদী ভাঙনে পুরোপুরি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখনও ভাঙ্গনের মুখে ১৫টি এবং বন্যাকবলিত আছে ৪৫টি।

ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলো রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং পুরোপুরি বিলীন স্কুলগুলো নতুনভাবে নির্মাণের জন্যও চেষ্টা চলছে বলে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। 

যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের মুখে রয়েছে সেগুলো রক্ষায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

দেশের উত্তরের নদ-নদী বেষ্টিত জেলা কুড়িগ্রামে রয়েছে ১৬টি নদ-নদী। চলতি বর্ষা মৌসুমে বন্যায় ক্ষতি তেমন না হলেও, রয়েছে নদী ভাঙনের তীব্রতা।

এসবি/এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি