ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ আরও ২ মামলা

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২২:১০, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১

রাজাশাহীর কাটাখালী পৌরসভার বরখাস্ত মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল আইনে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী পৃথক দুই ব্যক্তি কাটাখালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। রাতেই মামলা দুইটি রেকর্ড করা হয়। এর ফলে বরখাস্ত মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল তিনে।

কাটাখালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুশ বাদী হয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন। অপর মামলাটি দায়ের করেছেন কাটাখালী পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জনি ইসলাম জনি। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আব্বাসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন।

আব্দুল কুদ্দুশ তার অভিযোগে জানান, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কাটাখালী অটোস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় মেয়র আব্বাসের বাসভবনের কাছে তিনি নিজ জায়গায় একটি মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন। নির্মাণ কাজ শুরুর পরপরই আব্বাস তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় আব্বাসের সশস্ত্র ক্যাডাররা তাঁর নির্মাণ সামগ্রী ভাঙচুর করেন। ফলে তিনি আর মার্কেট নির্মাণ করতে পারেননি। এরপরও আব্বাস চাঁদা পরিশোধের দাবি করে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। নিজ জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করতে না পারায় তিনি বিপুল আর্থিক ক্ষতিতে পড়েন।

অপরদিকে, দ্বিতীয় মামলার বাদী তাঁর অভিযোগে বলেন, গত ২৩ নভেম্বর আব্বাসের ভাইরাল হওয়া অডিওতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকেই শুধু কটূক্তি করা হয়নি- রাজশাহীর মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে উদ্দেশ করে অসম্মানজনক নানান কটূক্তি করা হয়।

বাদী আরও উল্লেখ করেন, খায়রুজ্জামান লিটন জাতীয় চার নেতার অন্যতম ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের পুত্র ও রাজশাহীর সিটি মেয়র। তার সম্পর্কে খারাপ উক্তি করায় দলের ও লক্ষ্যস্থিত ব্যক্তির অনেক সম্মানহানি হয়েছে।

কাটাখালী থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুটি এজাহার পেয়ে সেগুলো মামলা আকারে রেকর্ড করা হয়েছে। অন্য একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা আব্বাস মেয়রকে এ দুটি মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানানো হবে আদালতে।

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর রাতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণকে কেন্দ্র করে জাতির পিতার প্রতি কটূক্তি করেন কাটাখালীর বরখাস্ত মেয়র আব্বাস আলী। ফলে ২৫ নভেম্বর নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাসিকের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর হোটেল রাজমনি ইশা খাঁ থেকে র‍্যাব সদস্যরা আব্বাসকে গ্রেফতার করেন।

গত ১০ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আব্বাসকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। জেলা আওয়ামী লীগ আগেই কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে আব্বাসকে বহিষ্কার করে। বর্তমানে আব্বাস রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি