ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভোগান্তি ছাড়াই মিলছে জমির খতিয়ান (ভিডিও)

ময়মনমসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:১৯, ১৮ এপ্রিল ২০২২

জমির খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপি পেতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও কষ্ট ছিল নিত্যদিনের। দালালের দ্বারস্থ হয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়েও ঘুরতে হতো তিন থেকে ছয়মাস। মাত্র তিনমাসেই পাল্টে গেছে সে দৃশ্যপট। আবেদনের মাত্র ছয়ঘন্টার মধ্যে দুর্ভোগমুক্ত সেবা পাচ্ছেন গ্রহীতারা।

ময়মনমসিংহের ভালুকার ধলিয়া গ্রামের সিদ্দিক আলী। মেয়ের বিয়ের খরচ যোগাতে পাঁচ শতক জমি বিক্রি করতে এসেছিলেন ভূমি অফিসে। কিন্তু বিআরএস খতিয়ান না থাকায় হালনাগাদ খাজনা পরিশোধ করতে পারছিলেন না তিনি। ফলে জমি বিক্রি করাও যাচ্ছিল না। 

রোববার সকাল দশটার মধ্যে স্থানীয় ডিজিটাল কেন্দ্রে এসে বিআরএস খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপি তুলতে মাত্র ৫০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেন সিদ্দিক আলী। ছয় ঘন্টা পর বিকাল চারটায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ই-সেবা ওয়ান স্টপ সার্ভিস থেকে হাতে পেয়েও যান কাঙ্খিত কপিটি। সেবা পেয়ে খুশি তিনি।

সেবাগ্রহিতা সিদ্দিক আলী বলেন, “সকালে দরখাস্ত করে বিকালেই পেয়ে পেলাম। খুব সহজেই পেয়েছি, আগে দুই থেকে তিনমাস সময় লাগত।”

একই দিনে খতিয়ানসহ নানা সেবা পাওয়া অন্য সেবাগ্রহীতারাও জানান এই উদ্যোগ সময়ের সাথে অর্থসাশ্রয়ীও। 

স্থানীয় সেবাগ্রহিতারা জানান, “আগে দিনের পর দিন ঘুরেও পেতাম না। প্রতিদিন দিয়ে দিলেই সুবিধা। না হলে অনেক কষ্ট, দূর-দূরান্ত থেকে আসতে হয়।”

গত জানুয়ারিতে এই পদ্ধতি চালু করে ময়মনমসিংহ জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২শ’ সেবাগ্রহিতা চাহিদার খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপি পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। 

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন রেকর্ডরুম ডেপুটি কালেক্টর ইসমাত জাহান ইতু বলেন, “বিভিন্ন উপজেলা থেকে তারা আসছেন। এর ফলে তাদের ভোগান্তি থাকছে না, তাদের বার বার আসতে হচ্ছে না। যেই মামলা বা জটিলতা আছে সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে।”

জেলা প্রশাসক বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সেবা সহজ করে মানুষকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতেই এ উদ্যোগ। 

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, “মানুষজন সেবা নিতে আসছেন, একদিন আবেদন করবেন আরেক দিন এসে সেটা নিয়ে যাবেন। এই ধরনের কষ্ট থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মূলত আমরা কাজটা করেছি।”

রেকর্ডরুমে জেলার ১৩ উপজেলার দুই হাজার ২০১টি মৌজার সিএস, এসএ ও বিআরএস জরিপের নয় হাজার ৭১৯টি রেকর্ড বইয়ে ২১ লাখ ১১ হাজার ৭১৯টি খতিয়ান এবং দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫৫৬টি মৌজা ম্যাপ সংরক্ষিত আছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি