ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জনবসতিতে কাঠ পুড়িয়ে শুকানো হচ্ছে কয়েলের কাঁচামাল 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৯, ১৪ জুলাই ২০২২

মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের হাইওয়ে থানা সংলগ্ন সোনাপাহাড় এলাকার জনবসতিতে কয়েলের কাঁচামাল তৈরির কারখানার বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ ওঠেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫-৬ জন শ্রমিক কারখানায় বড় পাঁচটি চুল্লিতে বড় বড় কাঠের টুকরো ফেলে গোন্ডি (মিয়ানমার থেকে আনা এক ধরনের পাহাড়ি কচু) পোড়াচ্ছেন। তার দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে আছে। মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসছাড়াই কাজ করছিলেন কারখানার শ্রমিকরা। 

জানা গেছে, প্রতিটি চুল্লিতে পোড়ানো হয় প্রতিদিন ৫০-৬০ মণ কাঠ। পোড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠের গুড়ি। বনাঞ্চল ধ্বংস করে এভাবে চুল্লিতে কাঠ পোড়ানো অবৈধ এবং এতে পরিবেশের অনেক অনেক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, কারখানায় মশার কয়েল এবং আগরবাতির কাঁচামাল উৎপাদন করা হয়। 

কারখানাটির জায়গার মালিক মোহাম্মদ দাউদ একুশে টেলিভিশনকে বলেন, “কারখানা স্থাপনের বৈধ কাগজপত্র আছে জেনে ভাড়া দিয়েছি, তবে কাগজপত্র দেখিনি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার ম্যানেজার বাবলু দে জানান, কারখানাটি তার বড় ভাইয়ের। মা ট্রেডার্স নামে মিয়ানমার থেকে কয়েল তৈরির কাঁচামাল গোন্ডি সংগ্রহ করে এখানে এনে শুকানো হয়। পরে ঢাকায় বিভিন্ন কয়েল ও আগরবাতি কারখানায় পাঠানো হয়। 

তিনি বলেন, “বৃষ্টির কারণে কাঁচামালগুলো আগুন দ্বারা শুকানো হচ্ছে। পরিবেশ দূষিত হলে আমরা বন্ধ করে দেব।”

পরিবেশ দূষণের ব্যাপারে কারখানার মালিক ছোটন চন্দ্র দে বলেন, “আমরা এখানে ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছি। নিয়মিত আয়কর পরিশোধ করি।”

তবে কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই বলে তিনি স্বীকার করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান বলেন, “কারখানা স্থাপনের তথ্যটি আমার জানা নেই। তবে জনবসতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া এভাবে কাঠ পোড়ানো অবৈধ। আমরা শিগগিরই এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”

আরএমএ
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি