ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪

মোংলায় ১০ জাহাজে প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে আড়াই লাখ ডলার

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:১১, ২৮ নভেম্বর ২০২২

নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে টানা দুদিন ধরে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্তি ডলার।

বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর ব্যবহারকারী ও আমদানিকারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মজুরি বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মত নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। 

সোমবার (২৮ নভেম্বর) মোংলার পশুর নদীর নৌ চ্যানেলে গিয়ে দেখা যায় বিদেশি জাহাজের সঙ্গে পণ্য খালাসে অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ’ লাইটার জাহাজ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা লাইটারে পণ্য নিবে না। 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, বন্দরের চ্যানেলে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ১০টি বিদেশি জাহাজ অবস্থান করছে। সেসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে রেখেছে ধর্মঘটী শ্রমিকরা। এতে এই বন্দরের সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনা করে দ্রুত এর সমাধান করার পরামর্শ দেন তিনি।

বন্দর ব্যবহারকারী এস এম মোস্তাক মিঠু, মোস্তফা জেসান, এইচ এম দুলাল ও মশউর রহমান বলেন, নৌযান শ্রমিকদের এই কর্মবিরতির ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। বন্দরে অবস্থান করা জাহাজে পণ্য খালাস করতে শ্রমিকদের পাঠানো হলেও বসিয়ে বসিয়ে তাদের মজুরি পরিশোধ করতে হচ্ছে। জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করার জন্য লাইটার ভাড়া করেও বিপদে পড়েছেন তারা। সেখানেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। 

এমনিতেই দেশে ডলারের সংকট চলছে। তার ওপর বিদেশি জাহাজ ভাড়া করায় প্রতিদিন অতিরিক্ত ডলার চলে যাচ্ছে বিদেশে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্ভূত এই পরিস্থিতি সমাধানের অনুরোধ জানান তারা।

মোংলা বন্দরের শিপিং এজেন্ট সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, ডলার দিয়ে বিদেশি জাহাজ ভাড়া করে দেশে পণ্য আমদানি করতে হয়। সেক্ষেত্রে একটি জাহাজ ২৫ হাজার ডলারে ভাড়া নিয়ে পণ্য খালাস করতে দু’দুদিনের জায়গায় তিনদিন লেগে গেলে অতিরিক্ত ২৫ হাজার ডলার ড্যামারেজ (ক্ষতি) গুনতে হয়। 

চলমান নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ফলে তার প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী বলেন, মোংলা বন্দরে ১০টি জাহাজে প্রতিদিন দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার করে ড্যামারেজ গুনতে হচ্ছে তাদের। এই ক্ষতি ভোক্তা পর্যায়ে পর্যন্ত পৌঁছাবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মোংলা শাখার সহ সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু বলেন, মালিকরা বেতন না বাড়ালে আর না খেয়ে থাকতে পারবোনা। এবার বেতন বাড়াতেই হবে, নইলে আন্দোলন চলবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি