ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

কম্বলকাণ্ড সম্পর্কে যা বললেন এমপি কবিতা

 সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:১৬, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

কম্বলকাণ্ড সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করছেন সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা। সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি কোন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত কম্বল ফেরত চাইনি।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তার শক্তিপুরের বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানালেন, স্থানীয় এমপির নির্দেশেই চেয়ারম্যাদের কাছে কম্বল চাওয়া হয়েছিলো প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যোমদিয়ে।

সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা বলেন, “আমার নাম জড়িয়ে যারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছে তারা সঠিক বিষয় উপস্থাপন করেননি। পূর্ব আক্রাশ থেকে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছেন। আমি বলেছি প্রতিটি ইউনিয়নে কম্বল বিতরণের সময় সেখানে আমি উপস্থিত থাকবো। তারা এটাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিকারীরা আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
 
“আমার বক্তব্য না নিয়ে যারা এ ধরণের মিথ্যা প্রপাগান্ডার উপর ভিত্তি করে সংবাদ পরিবেশন করেছে তারা সঠিক সংবাদ না জেনে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেছে। তাদের এটা করা ঠিক হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “গালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তারা ভিজিএফ থেকে শুরু করে কোন প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে না করে দুর্নীতি করে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। তাই সঠিকভাবে অসহায় দুস্থরা যাতে কম্বল পায় সেজন্য আমি কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত থাকতে চেয়েছি এ জন্য তারা আমার বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছে।”

“দুর্নীতি করতে পারবেনা বুঝতে পেরে তারা কম্বল ফেরত দিয়েছে।”

সংসদ সদস্যের বক্তব্য মিথ্যা বলে হাবিবুল্লাল নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাচ্ছু বলেন, “এমপি তার কম্বলকাণ্ড ঢাকতে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমরা কোন দুর্নীতি করিনি। এমপি ও তার ছেলে মিলে সকল জায়গাতে সকল কাজে দুর্নীতি করছে।”

তিনি আরও বলেন, “৩৫০ কম্বল আমরা বরাদ্দ পেয়েছি, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার যদি এমপিকে ২০০টি দেই তাহলে আমরা কিভাবে মানুষের মাঝে এই অল্প সংখ্যাক কম্বল বিতরণ করবো। তাই ফেরত দিয়েছি।”

এদিকে শাহজাদপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি সকল চেয়ারম্যানকে ফোন করে জানিয়েছেন, বরাদ্দকৃত কম্বল থেকে ২শ’ কম্বল স্থানীয় সংসদ সদস্যদের জন্য রাখতে হবে। এটি তিনি নিজে বিতরণ করবেন। আর বিষয়টি মানতে নারাজ ইউপি চেয়ারম্যানরা। আর এজন্যেই বৃহস্পতিবার সকালে ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা কম্বল ফেরত দিয়ে গেছেন।”

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৪ হাজার অসহায় শীতার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত কম্বল ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফেরত দেন। তাদের দাবি প্রতিটি ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত ৩৫০টি কম্বলের মধ্যে ২০০ কম্বল এমপি ফেরত চেয়েছেন। তাই এই সামান্য কম্বলে তাদের হবেনা বিধায় তারা বরাদ্দের সব কম্বল শাহজাদপুর ইউএনও অফিসে ফেরত দিয়েছেন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি