ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

উপকূলে বিশুদ্ধ পানির এটিএম সেবা উদ্বোধন

মোংলা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৫:১১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

উপকূলে লবণ অধ্যুষিত বিশুদ্ধ পানির হাহাকার দীর্ঘদিনের। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে বিশুদ্ধ পানি যেন সোনার হরিণ। দূর দূরান্ত থেকে মিষ্টি পানি এনে জীবন বাঁচানোও যেন রীতিমত যুদ্ধ। সেই বঞ্চনা আর অসহনীয় দুর্ভোগের কিছুটা মুক্তি মিলবে এবার। 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিশুদ্ধ পানির এটিএম সেবা উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুক আব্দুল খালেক। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ায় কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান মহাব্যবস্থাপক শান্তনু কুমার মিশ্র।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ায় কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মঙ্গলা হারির্নান, উপ-ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম, ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলাম, মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমানসহ স্থানীয় অতিথিরা।

অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে এটি এম বুথে পাঁচ টাকার কয়েন দিলেই পাওয়া যাবে ২০ লিটার বিশুদ্ধ মিষ্টি পানি। এক টাকার কয়েনে চার লিটার, আর দুই টাকার কয়েনে আট লিটার মিষ্টি পানির এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি। 

বাগেরহাটর মোংলা পোর্ট পৌরসভায় একটি, উপজেলার বুড়িডাঙ্গা ইউনিয়নে চারটি এবং রামপাল উপজেলার হুড়কা, গৌরম্ভা ও রাজনগর ইউনিয়নে ছয়টি মিলে মোট ১১টি স্থানের মধ্যে বুড়িডাঙ্গা ইউনিয়নে তিনটি, রাজনগরে দুটি এবং গৌরম্ভা ইউনিয়নে দুটি বিশুদ্ধ পানির এটিএম বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বাকিগুলোতে রিভার অসমোসিস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে মিষ্টি পানি পাবেন।

দুই কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশুদ্ধ পানির এসব প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ায় কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলাম বলেন, মিষ্টি পানি এই এলাকার একটি প্রধান সমস্যা। সে সমস্যা নিরসনে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লবণ অধ্যুষিত এখানকার কয়েক হাজার পরিবারের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এখন তারা দীর্ঘদিনের বিশুদ্ধ পানির বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাবে।

এছাড়া এই এলাকায় পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য ফ্রী শিক্ষা, চিকিৎসাসহ আর্থ সামজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রও পরিচালনা করছে তারা।

এদিকে মিষ্টি পানির সু-ব্যবস্থা পেয়ে বুড়িডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা করিম ফকির, নারায়ণ বিশ্বাস ও বিজলি সরকার বলেন, ‘আমাদের যে উপকার হলো, তা বলে বুঝাতো পারবোনা। এতদিন খালের নোনা পানি ফিটকিরি দিয়ে এবং দূরদূরান্ত থেকে মিষ্টি পানি এনে জীবন বাঁচিয়েছি। যারা এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।’

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি