ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৬ পরিচালককে কেন আপসারণ নয়: হাইকোর্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৮, ১৮ জুলাই ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ফার্স্ট ফাইনান্স লিমিটেডের অর্থপাচার ও কোম্পানিতে অবৈধভাবে পরিচালক নিয়োগের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সাথে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের পরিচালক পদে ৬ জনকে তদন্তের পর পরিচালক পদ থেকে কেন অপসারণ করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার  বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

এর আগে এ বিষয়ে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন মো. মনিরুজ্জামান। এতে তারেক রহমানের সাবেক এপিএস মিয়া নুরুদ্দিন অপুর বেনামে মানিলন্ডারিং এ অভিযুক্ত টাকায় কেনা ফাস্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের চার প্রতিষ্ঠানের মনোনীত পরিচালকদের ফাস্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে অব্যাহতির আদেশ চাওয়া হয়।  তার প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট এ রুল দেন।

এ সময় ফার্স্ট ফাইন্যান্সে সংঘটিত অনিয়ম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিতে পারায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকারও সমালোচনা করা হয়।

যে চার কোম্পানির পরিচালকদের বিষয়ে অভিযোগ সেগুলো হলো-অ্যালফাবেট অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড, অপারচর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, রাকাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও কাসরাজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট এমকে রহমান ও ব্যারিস্টার এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান।

রুল জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট এমকে রহমান একুশে টেলিভিশনকে জানান, মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কোম্পানির পরিচালক থেকে অপসারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত। ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ আদেশের কারণে সংশ্লিষ্ট পাঁচ পরিচালকের ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের বোর্ড মিটিংয়ে অংশ নেওয়া উচিত হবে না বলেও আদালত জানিয়েছে বলে জানান তিনি।

এনএম/এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি