ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

তিন দফা দাবিতে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:০৪, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩

তিন দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদেরকে দাবি সম্বলিত পোস্টার বহন করতে দেখা গেছে।

রোববার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ পরিস্থিতিতে বিভাগটির পূর্ব নির্ধারিত ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। 

পরে দুপুর ১টার দিকে ওই বিভাগের শিক্ষকদের আশ্বাসে কর্মসূচি সাময়িক তুলে নেয় তারা। তবে আগামি ১৫ দিনের মধ্যে তাদের দাবিগুলো আদায় না করা হলে পুনরায় আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ, লাইব্রেরিতে বই সংযুক্ত ও অফিস সুবিধা বাড়ানোর দাবি শিক্ষার্থীদের। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সমাজকর্ম বিভাগের শ্রেণিকক্ষের সংকট দীর্ঘদিনের। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের কাছে দফায় দফায় ধরণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি।  শিক্ষকেরাও সংকট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বারবার আলোচনা করেও কোন ফল পাননি। এ কারণে বিভাগের শিক্ষার্থীরা রোববার সকাল থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে শহীদ মিনার চত্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

সমাজকর্ম বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিভাগটিতে তিনটি ব্যাচে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবনের পঞ্চম তলার একটি কক্ষকে শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এই একটি মাত্র কক্ষে তিনটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ক্ষেত্রে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। একই সঙ্গে পরীক্ষাগুলো যথাসময়ে দেওয়া সম্ভব হয়না। 

এর মধ্যে নতুন আরও একটি ব্যাচের ভর্তি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হলে সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠবে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শুধু শ্রেণিকক্ষের সংকট নয়, শিক্ষকের সংকটও চরম। তিনটি ব্যাচের জন্য অন্তত আটজন শিক্ষক থাকার দরকার। সেখানে শিক্ষক আছেন মাত্র চারজন। শিক্ষক কম হওয়ায় দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ তিনটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা সময়মত নিতে পারছেন না। লাইব্রেরিতে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ বইও।

সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান চয়ন শিকদার বলেন, বিভাগে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকের তীব্র সংকট রয়েছে। একটিমাত্র শ্রেণিকক্ষ দিয়ে তিনটি ব্যাচের পাঠদান করানো খুবই কষ্টকর। চারজন শিক্ষক দিয়ে বর্তমানে তিনটি ব্যাচের পাঠদান ঠিকমত নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তারপর নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিও চলমান রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি স্বীকার করেন প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে আশ্বস্ত করা হলে তারা আন্দোলন থেকে সরে এসেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের নতুন শ্রেণিকক্ষ দেওয়া হবে। 
এছাড়া শিক্ষক নিয়োগের নতুন সার্কুলারও দেওয়া হয়েছে। সবমিলে চলতি মাসের মধ্যে শিক্ষক সংকটের নিরসন হবে বলেও জানান তিনি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি