ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

গবেষণা চুরি : কুয়েটের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৪, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

অন্যের লেখা চুরির (প্লাগারিজম) করার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক, গবেষণা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে এই তিন শিক্ষককে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

তিন শিক্ষক হলেন- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল-বারী ও এনার্জী সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান আলী।

এই তিনজন জাপানের প্রকাশিত গবেষণাপত্র হুবহু নকল বা চুরি করে নিজেদের নামে প্রকাশ করায় তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৮তম সভায় প্লাগারিজমের সুস্পষ্ট অভিযোগে এবং প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির বিষয়টি পাকাপাকি হয়। একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৪ সালে মিটসুবিসু মটরস এর টেকনিক্যাল রিভিউতে (নম্বর-১৬) প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধের প্রায় শতভাগ হুবহু নকল করে কুয়েটের উল্লেখিত শিক্ষকরা ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং(ভলিউম-২ ইস্যু-১) এবং আইসিএমআইএমই ২০১৩ এ দুইটি টেকনিক্যাল পেপার প্রকাশ করে। উক্ত পেপার সমূহের বিষয়বস্তু, ফলাফলসহ অন্য লেখকের গবেষণার সঙ্গে মিলের পরিমাণ নিরিক্ষণের জন্য প্রেরিত দেশের খ্যাতনামা ৪ জন গবেষক ও শিক্ষকের কাছ থেকে পৃথক পৃথকভাবে প্লাগারিজমের সত্যতা পাওয়ার পর অভিযোগটি সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হয়। তাই ৩ শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল-বারী ও সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান আলীকে এসব শাস্তি দেওয়া হয়।

ৎএকে// এআর


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি