ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪

বুয়েটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভর্তি ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:২৭, ৮ অক্টোবর ২০১৯

আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসিসহ আট দফা দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েটের ভর্তি ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে এসব দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

যে আট দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন, সেগুলো হলো− 
১. খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, 
২. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা, 
৩. আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগের নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা, 
৪. ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি ভিসি, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে ভিসিকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে এর জবাব দিতে হবে, 
৫. আবরার হত্যা মামলার সমুদয় খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে, 
৬. এর আগের ঘটনাগুলোর বিচার করতে হবে, 
৭. ১১ অক্টোবরের মধ্যে শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং 
৮. ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। 

এছাড়া, আগামী সাত দিনের মধ্যে বুয়েটে সব ছাত্র রাজনীতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে রোববার (৬ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

নিহত আবরার ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তার বাবা বরকত উল্লাহ একজন এনজিওকর্মী, মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজের ছাত্র। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি