ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

চার মাসেও সংস্কারের আলো দেখেনি নোবিপ্রবি`র সালাম হল

নোবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২২:৩৯, ৫ জানুয়ারি ২০২০

নোবিপ্রবি ছাত্রদের একমাত্র সম্বল ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল

নোবিপ্রবি ছাত্রদের একমাত্র সম্বল ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল

দীর্ঘ ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের আলোর মুখ দেখেনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ছাত্রদের একমাত্র সম্বল ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল। এমনিতেই দিন দিন বাড়ছে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট। তার ওপর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গত চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের একমাত্র হলটি। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের জন্য রয়েছে মাত্র ৫টি হল। যার মধ্যে ছেলেদের জন্য আছে মাত্র একটি হল এবং আব্দুল মালেক উকিল হলে আগে মেয়েরা থাকায় সেটা এখন সংস্কারাধীন। সংস্কারের পরে ছাত্রদের সেখানে আবাসন করা হবে। আর বাকি তিনটি হল ছাত্রীদের জন্য। যার মধ্যে দুটিতে বর্তমানে ছাত্রীরা থাকেন এবং একটি নির্মাণাধীন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নোবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য আব্দুল হামিদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল উদ্বোধন করেন। ফলে আব্দুল মালেক উকিল হল থেকে ছাত্রীদের সেখানে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু উদ্বোধনের পর নানামূখী জটিলতায় শিক্ষার্থীদের হলে তুলতে বিলম্ব হয়।

অন্যদিকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ছাত্রদের জন্য একমাত্র আবাসিক ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলটি বন্ধ রয়েছে গত চার মাস ধরে। ফলে ছাত্রদের এখন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের থাকতে হচ্ছে মেসে। হলটি কবে নাগাদ খোলা হবে সে বিষয়ে প্রশাসন স্পষ্ট করে কিছুই জানাতে পারেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, 'হঠাৎ করে হল বন্ধ ঘোষণা করায় সাধারণ ছাত্ররা বাধ্য হয়ে চড়া দামে বাসা ভাড়া দিয়ে থাকছেন। ছাত্রলীগের সংঘর্ষে হল দীর্ঘ চার মাস বন্ধ থাকলেও এখনও চালু হয়নি। তাই ছাত্রদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত হলটি খোলার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'

অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মো.মনির হোসেন বলেন, ‘হল বন্ধ থাকায় বাইরের মেস বা বাসাগুলোতে অনেক চাপ। এছাড়া পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় গাড়িতে ঝুলে ক্যাম্পাসে আসেন অনেকে।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, 'হলটির সংস্কার করতে অনেক টাকা প্রয়োজন, যা হলের নিজস্ব ফান্ডে সম্ভব নয়। তাই হলটি মেরামতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর অনুমোদন এবং বাজেট লাগবে। ইউজিসি থেকে অনুমোদন এবং বাজেট পেলে দ্রুত কাজ শেষ করে ছাত্রদের হলটি খুলে দেওয়া হবে।'

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি