ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

চীনা বিমান বিধ্বস্ত, প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৩, ২১ মার্চ ২০২২

বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ

বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ

Ekushey Television Ltd.

চীনের একটি যাত্রীবাহী বিমান দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় পাহাড়ী বনাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ১২৩ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন। তবে তাদের একজনও জীবিত নেই বলেই জানাচ্ছে চীনা সংবাদমাধ্যম। তবে হতাহতের বিস্তারিত এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।

দেশটির গণমাধ্যম বলছে, দুর্ঘটনাস্থলে বেঁচে থাকার কোনো চিহ্ন নেই এবং এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ মৃত যাত্রী এবং ক্রুদের জন্য গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছে।

চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের এই বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি কুনমিং থেকে গুয়াংঝু যাওয়ার পথে গুয়াংশি এলাকায় বিধ্বস্ত হয় এবং এটিতে আগুন ধরে যায়।

ঘটনাস্থলে যাওয়া উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর জঙ্গলে আগুন ধরে যায়। আগুন অবশ্য এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, পাহাড়জুড়ে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়ছে ও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও এই ভিডিওগুলো শেয়ার করেছে। 

চীনা সংবাদ মাধ্যম সিসিটিভি একজন উদ্ধারকারী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানাচ্চে, বিমানটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে এবং আগুনের ফলে বহু গাছ ধ্বংস হয়ে গেছে। 

দ্য পিপলস ডেইলি প্রাদেশিক অগ্নিনির্বাপক বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষের মধ্যে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স বলছে, ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ (FlightRadar24) অনুযায়ী, বিমানটি প্রতি মিনিটে ৩১ হাজার ফুট বেগে নেমে আসছিল। কিন্তু কেম এমনটা ঘটল তার কারণ তদন্তাধীন বলেই জানিয়েছে এয়ারলাইন্সটি।

চীনে এর আগে সর্বশেষ বড় বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ১২ বছর আগে। ২০১০ সালের আগস্টে হারবিন থেকে আসা একটি বিমান ইচুনে বিধ্বস্ত হলে ৪২ জনের প্রাণহানী ঘটে। সূত্র- এনডিটিভি, বিবিসি।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি