ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

কঙ্গো জ্বরে ইরাকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৪, ১২ জুন ২০২২

কঙ্গো রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের প্রভাব

কঙ্গো রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের প্রভাব

Ekushey Television Ltd.

টিক-বাহিত ক্রিমিয়ান-কঙ্গো রক্তক্ষরণজনিত জ্বরে ইরাকে মৃতের সংখ্যা চলতি বছরে বেড়ে ২৭-এ পৌঁছেছে। শনিবার প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে লড়ে যাচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ পরিসংখ্যানটি গত মাসের মৃতের সংখ্যা থেকে বেশ জোরালো বলেই চিহ্নিত করে। বছরের শুরুতেই, যখন নথিভুক্ত ৫৫ জন আক্রান্তের মধ্যে ১২ জনেরই মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়।

কঙ্গো জ্বর নামেও পরিচিত এই রোগটি মারাত্মক রক্তপাত ঘটায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানুষ সাধারণত সংক্রামিত প্রাণীর রক্তের সংস্পর্শে এলে আক্রান্ত হয়।

ইরাকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেফ আল-বদর শনিবার বলেছেন, "রক্তক্ষরণজনিত জ্বরে বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।"

তিনি বলছিলেন, উত্তর ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে এই রোগে প্রথম মৃত্যু রেকর্ড করা হয়। তবে, মোট রেকর্ডকৃত আক্রান্তের সংখ্যার অর্ধেক রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন, যোগ করেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জানাচ্ছে, আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং বলকান অঞ্চলে এই রোগে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর হার ১০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে।

ইরাকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলছেন, তাদের মন্ত্রণালয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আক্রান্তদের শনাক্ত করতে কাজ করছে।

তিনি জানান, গবাদি পশু এবং গৃহপালিত পশুর প্রজননের জন্য পরিচিত দক্ষিণের ধী-কার প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। যেখানে এখনও পর্যন্ত ৬১ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

কর্তৃপক্ষ জীবাণুমুক্তকরণ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রোটোকল অনুসরণ করে না এমনসব জনাকীর্ণ স্থাপনা ও স্থানে লকডাউন ঘোষণা করছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রদেশ তাদের সীমানাজুড়ে গবাদি পশু চলাচল নিষিদ্ধ করেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, প্রাণিসম্পদ খামারিরা এবং কসাইখানার কর্মীরাই এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। সূত্র- এএফপি, আরব নিউজ।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি