ঢাকা, সোমবার   ২৫ আগস্ট ২০২৫

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন

পাকিস্তানে হামলার সময় ভেঙে পড়েছে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৮, ১০ মে ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পাকিস্তানে এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চালানো সাম্প্রতিক অভিযানের সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া যুদ্ধবিমান দুটি ছিল ফরাসি নির্মিত রাফালে ও মিরাজ ২০০০।

গত বুধবার (৭ মে) সকালের অভিযানের পর পাকিস্তান জানায়, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারত এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো স্বীকারোক্তি কিংবা প্রত্যাখ্যান করেনি। ভারতীয় সেনাবাহিনী বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত এক ডজন ভিডিও ও ছবির ভিজ্যুয়াল বিশ্লেষণে দেখা গেছে—পাঞ্জাবের আকালিয়া খুর্দ গ্রাম এবং ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বিভিন্ন স্থানে পাওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রাফালে ও মিরাজ ২০০০–এর অংশ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব যুদ্ধবিমান Dassault Aviation কোম্পানির তৈরি।

ছবিতে দেখা গেছে, রাফালের লেজে “Rafale”, “BS 001” এবং ভারতীয় পতাকা খোদাই করা। এগুলো ২০২১ সালে প্রকাশিত ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফালের চিহ্নের সঙ্গে মিল রয়েছে।

কাশ্মীরের ভুয়ান গ্রামে পাওয়া ধ্বংসাবশেষের একটি অংশকে মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমানের বাহ্যিক জ্বালানি ট্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের কয়েকজন সামরিক বিশ্লেষক। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় একটি স্কুলে বিস্ফোরণ ঘটে, যা ভিডিওতেও দেখা গেছে।

আরেকটি ভিডিওতে একটি ফরাসি MICA ক্ষেপণাস্ত্র, যা এখনো লঞ্চারের সঙ্গে যুক্ত, ভূমিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষের এক জায়গায় পৌঁছানো প্রথম ব্যক্তি একজন কৃষক ছিলেন। পরে একটি বিস্ফোরণে তিনি নিহত হন।

পাকিস্তান বলছে, তাদের সীমান্তের ভেতরে ঢুকে বিমান হামলা চালানোর পর ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোকে গুলি করে নামানো হয়েছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, “পাকিস্তানি বিমান ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি। বরং ভারতীয় বিমান তাদের ‘পেলোড’ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পরই আমরা জবাব দিই।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত সরকার এখনো নিশ্চুপ থাকায় পাকিস্তান সহজেই সামরিক ‘বিজয়ের’ দাবিতে অবস্থান নিচ্ছে, যা সংঘাত থেকে বের হওয়ার পথ করে দিতে পারে।

ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশল গবেষক আরজান তারাপোর মনে করেন, “ভারত সাধারণত সংকট পরিস্থিতিতে সামরিক তথ্য গোপন রাখে। এমন সময় কিছু স্বীকার করলে তা উত্তেজনার দিক পাল্টে দিতে পারে।”

উল্লেখ্য, গত মাসে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার পর ভারত এসব বিমান হামলা চালায়। তাতে দুই দেশের মধ্যে ফের উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি