ঢাকা, সোমবার   ২৫ আগস্ট ২০২৫

ডাকসু নির্বাচনে ভিপি ও জিএস পদে প্রার্থী যারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৯, ২৪ আগস্ট ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দীর্ঘ ছয় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা। প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসমর্থিত ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ৯টি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এবং কয়েকটি আংশিক প্যানেল অংশ নিচ্ছে এ নির্বাচনে, পাশাপাশি অনেকে এককভাবেও বিভিন্ন পদে প্রার্থী হয়েছেন। এবারের ডাকসু বিশেষভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ, উৎসাহ ও প্রত্যাশা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে আগ্রহ ও আলোচনা, কারা পাবেন ডাকসুর নেতৃত্বের দায়িত্ব।

ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৪৬২ জন। এর মধ্যে ভিপি পদে ৪৮ এবং জিএস পদে ১৯ জন। এবারের সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীদের প্রায় সবাই জুলাই আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কারণে তারা শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

এক নজরে দেখে নেয়া যাক এবারের ডাকসু নির্বাচনের আলোচিত ভিপি এবং জিএস প্রার্থীদের বিস্তারিত:

শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি

ডাকসুতে নারী প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। ডাকসু নির্বাচনে বামপন্থী সংগঠনসমূহের জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামক প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী হিসেবে লড়বেন তিনি। ইমি ২০১৩-১৪ সেশনের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালে হল সংসদ নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ইমি, যদিও পরবর্তীতে সেই সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেন।

তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ২০১৯ সালের একটি বক্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঐ বক্তব্যে তিনি শেখ হাসিনাকে আজীবন ডাকসু সদস্য হিসেবে দেখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছিলেন। বিষয়টি তার বর্তমান অবস্থান ও বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন অনেকে। তবে বাম ছাত্রজোট মনে করছে, ইমি দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও সংগঠিত প্রার্থী, যিনি প্রগতিশীল ছাত্রদের হয়ে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন।

ইয়াসিন আরাফাত

ইসলামী ভাবধারার প্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচনায় আছেন ইয়াসিন আরাফাত। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি। এবারের ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভিপি পদে। নিজ সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছেন। ডাকসুর মাধ্যমে আমরা ইসলামী মূল্যবোধ ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণ একসঙ্গে প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া ইয়াসিন আরাফাতের প্রার্থিতা ইসলামী ধারার ছাত্রদের মধ্যে প্রত্যাশা সৃষ্টি করেছে।

শামীম হোসেন

ভিপি পদে সম্প্রতি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম হোসেন। তিনি নিজের ইংরেজি প্ল্যাটফর্ম “Shameem Insight”-এর জন্য পরিচিত।

শামীমের ভাষ্যমতে, গত কয়েক বছরে তিনি প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীকে ইংরেজি পড়িয়েছেন। আগে সাইফুরস কোচিং সেন্টারের কোর্স সমন্বয়ক ছিলেন। বর্তমানে উচ্চতর ইংরেজি লেখার কোর্স পরিচালনা করছেন, যেখানে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভিপি নির্বাচিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এক বছর বিনামূল্যে ইংরেজি শেখার সুযোগ করে দেবেন।

জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ

‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ নামক প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়বেন জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক। ২০১৯ সালে প্রথম বর্ষে থাকাকালীন সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ক্যাম্পাসে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি ‘শিক্ষণ’ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথেও যুক্ত ছিলেন। ‘ব্যাসিক ইসলামিক নলেজ প্রোগ্রাম’ নামে একটি শিক্ষা-উদ্যোগেরও পথিকৃত তিনি। এছাড়া, ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘সম্মিলিত ডাকসু আন্দোলন’ ব্যানারে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

খালিদ এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সমন্বয়ক ছিলেন। পরে তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে যোগদান করলেও এবার নতুন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে নিজেকে বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন।

আব্দুল কাদের

ভিপি পদে আরেক আলোচিত প্রার্থী জুলাই গণঅভ্যূত্থানের সম্মুখ সারির নেতা আব্দুল কাদের। ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। জুলাই গণঅভ্যূত্থান চলাকালে ঘোষিত ৯ দফার কারিগর হিসেবেও পরিচিত তিনি। আব্দুল কাদের ২০১৮-২০১৯ সেশনের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।

শেখ তানভীর বারী হামিম

ডাকসু নির্বাচনে লড়াই করা হেভিওয়েট প্রার্থীদের একজন শেখ তানভীর বারী হামিম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল থেকে জিএস পদে নির্বাচন করেছেন তিনি। ছাত্রদলের রাজনীতি করায় বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারা হামিম জুলাই গণঅভ্যূত্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। হাসিনা সরকার পতনের পর ক্যাম্পাসে ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় তিনি।

মেঘমল্লার বসু

নানা কারণে আলোচিত মেঘমল্লার বসু এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জিএস পদে। বামধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামক প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সম্মুখ সারির যোদ্ধা তিনি।

বিন ইয়ামিন মোল্লা

শিক্ষার্থীদের যেকোনো ন্যায়সংগত দাবি আদায়ে সবসময় সক্রিয় থাকা বিন ইয়ামিন মোল্লা এবার ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্যার এ এফ রহমান হলের ২০১৪-২০১৫ সেশনের এ শিক্ষার্থী বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি।

বিন ইয়ামিন এর আগে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছিলেন এই ছাত্রনেতা।

মাহিন সরকার

জিএস পদে লড়ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার। জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদের নেতৃত্বাধীন ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে লড়ছেন তিনি। মাহিন ২০১৮-২০১৯ সেশনের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। জুলাই গণঅভ্যূত্থান চলাকালে তৎকালীন প্রশাসনের চাপে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে মাহিন সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের নেতৃত্বে এগিয়ে আসেন।

ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন মাহিন। গত ১৮ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

উমামা ফাতেমা

‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়ছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। তিনি ২০১৮-১৯ সেশনের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি একসময় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও নানা অভিযোগে তিনি বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়ান।

আবু বাকের মজুমদার

‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে জিএস পদে লড়বেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সম্মুখ সারির যোদ্ধা আবু বাকের মজুমদার। তিনি ২০১৯-২০২০ সেশনের ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন

আবিদুল ইসলাম খান

ডাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেল থেকে ভিপি পদে দাঁড়িয়েছেন আবিদুল ইসলাম খান। তিনি ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির নেতাদের মধ্যে অন্যতম আবিদ। অভ্যুত্থানের সময় তার ‘প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ আকুতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সরকার পতনের পর জুলাই আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল’ নামে একটি বই লিখেছেন তিনি।

এস এম ফরহাদ

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল জিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জুলাই গণঅভ্যূত্থানের সময় সরকার ঘোষিত শোককে প্রত্যাখান করে তার পরামর্শেই প্রোফাইল পিকচার লাল করার কর্মসূচি পালন করা হয় বলে প্রচলিত আছে।

আবু সাদিক কায়েম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-২০১৭ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। শিবিরের অভ্যন্তরে একজন ত্যাগী ও সাংগঠনিক নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখায় সাদিক কায়েম বর্তমানে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ডাকসুর নেতৃত্ব জাতীয় রাজনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। অতীতের ইতিহাসে দেখা গেছে, ডাকসুর অনেক নেতা পরবর্তীতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিণত হয়েছেন। তাই এবারের নির্বাচনের ফল কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং জাতীয় রাজনীতিতেও এর প্রতিধ্বনি শোনা যাবে বলে মনে করছেন তারা।

এবার দেখার পালা- একগুচ্ছ তরুণ নেতৃত্বের ভেতর থেকে কোন নতুন নেতৃত্ব উঠে আসে এবারে। বরাবরের মতো এই ভোটযুদ্ধ থেকে যারা উঠে আসবেন, তারাই আগামী দিনের বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও রাজনীতিকে নতুন পথে এগিয়ে নেবেন।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি