ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

আগে দিল্লি সামলান পরে বাংলা মোদিকে মমতা

প্রকাশিত : ২১:৫৬, ৩ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৩৯, ৪ এপ্রিল ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

জমে উঠেছে ভারতের নির্বাচন। একপক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দাগাচ্ছেন। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রত্যেকটা ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে দিন। দিল্লিকে দেখিয়ে দিন, জোড়া ফুলে (তৃণমূল কংগ্রেস) ভোট দিন, মোদিকে কবর দিন।

আজ বুধবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জোড়া সভার উত্তরে এভাবেই তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মোদিকে উদ্দেশ্যে করে মমতা বলেন, এখন থেকে আর প্রধানমন্ত্রী বলব না। কারণ, এই সরকারের এক্সপায়ারি শেষ। এখন থেকে এক্সপায়ারি বাবু বলব। তিনি মোদিকে সাবধান করে বলেন, বাংলার সঙ্গে পাঙ্গা নিয়ে লাভ নেই। আগে দিল্লি সামলা পরে বাংলা দেখিস।

এদিন পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় এক সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা মোদির উদ্দেশে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ‘দম থাকলে একসঙ্গে মিটিং করুন। মিটিংয়ে আপনি থাকবেন, আমি থাকব। আপনি প্রশ্ন করবেন, আমি উত্তর দেব।’

মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, মোদি মিথ্যে কথা বলে মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছেন। ৫৬ ইঞ্চি ছাতি নিয়ে ৫৬০টি মিথ্যে কথা বলছেন। গায়ের জোরে মোদি মিথ্যে কথা বলছেন।

মমতা দাবি করেন, তাঁর সরকার মোদি সরকারের মতো মানুষকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় না। তাঁর সরকার যা বলে করে দেখায়। তাঁর সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, ২ টাকা কিলো দরে চাল, কৃষক বন্ধু, স্বাস্থ্যসাথির সুবিধা পেয়েছেন।

অন্যদিকে শিলিগুঁড়ির এক সভা থেকে মোদি আহ্বান জানিয়েছেন, বিজেপির যেই প্রার্থী হোন না কেন, ভোটটা যেন সবাই তাঁকে দেন। মোদির ওই আহ্বানের পাল্টা হিসেবে বিজেপিকে বর্জনের আহ্বান জানান মমতা।

মোদি আরও বলেন, এবার দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নৌকা ডুবছেই।

বালাকোট প্রসঙ্গে বিরোধীদের পাকিস্তানের হিরো বলে কটাক্ষ করেন মোদি। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, পাকিস্তানের মাটিতে বালাকোটে ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের মারা হয়েছে। আর ভারতের আঘাতে সবথেকে বেশি ব্যাথা পেয়েছেন কলকাতায় বসে থাকা দিদি। দিদির যতোটা ব্যথা হয়েছে ইসলামাবাদ বা লাহোরের তা হয়নি।

মোদি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘স্পিডব্রেকার’ বলে তকমা দেন। তাঁর দাবি, অন্যান্য রাজ্য যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেইভাবে বাংলা এগোতে পারছে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গে ‘স্পিডব্রেকার’ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি