ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

স্বর্ণপদক জয়ী ইঁদুর মাগাওয়া মারা গেছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫২, ১২ জানুয়ারি ২০২২

মাটির নিচে পুঁতে রাখা একের পর এক মাইন খুঁজে বের করে অসংখ্য মানুষের প্রাণ রক্ষা করা কম্বোডিয়ার স্বর্ণপদক জয়ী ইঁদুর মাগাওয়া মারা গেছে। দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো ইঁদুরটির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটিতে বলেছে, আট বছর বয়সি মাগওয়া আর নেই। 

মৃত্যুর খবর জানানো বিবৃতিতে বলা হয়, সপ্তাহের শুরুর দিনগুলোতে তার স্বাস্থ্য ভালো ছিল। অধিকাংশ দিনই সে স্বভাবগত ভঙ্গিতে খেলেছে। কিন্তু সপ্তাহের শেষ দিকে খাবারে অনিহাসহ সে ঝিমাতে থাকে।  

শোক বার্তায় অ্যাপোপো আরও বলে, আমরা মাগওয়ার হারিয়ে যাওয়া অনুভব করছি। যে অবিশ্বাস্য কাজ সে করেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তার অবদানের ফলেই কম্বোডিয়ার মানুষ ভয় ও জীবন হারানোর শঙ্কা ছাড়া স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-যাপন করতে পারে।

আফ্রিকার দেশ তানজানিয়াভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো প্রাণীটিকে প্রশিক্ষণ দেয়। মাগওয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা তানজানিয়ায়। ওজন ছিল ১ দশমিক ২ কিলোগ্রাম, লম্বা ৭০ সেন্টিমিটার। এই প্রজাতির ইঁদুর অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক বড় হলেও মাগওয়া ছিল ছোট ও হালকা–পাতলা গড়নের।

মাগওয়া দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় শতাধিক স্থলমাইন ও অবিস্ফোরিত গোলা শনাক্ত করেছে। স্থলমাইন শনাক্তের মতো অতিঝুঁকিপূর্ণ বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য গত বছর মাগওয়াকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। প্রশিক্ষণের পর পেশা জীবন, এরপর ২০২০ সালের জুনে ইদুর মাগওয়াকে অবসর দেওয়া হয়।

বহু প্রাণঘাতী যুদ্ধের সাক্ষী কম্বোডিয়া। সেখানে এখনও বহু জায়গায় মাটির নিচে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখা আছে। সেইসব ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মাঝেমধ্যেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। 

মাগওয়াকে ল্যান্ডমাইন খোঁজার কাজে লাগানো হতো। যে জায়গা বোম্ব–ডিটেকটর হাতে নিয়ে পরীক্ষা করতে প্রায় চারদিন সময় লাগবে সেখানে ৩০ মিনিটে সফলভাবে সার্চ অপারেশন চালাতো মাগওয়া। 

কম্বোডিয়ায় ৬০ লাখের বেশি স্থলমাইন রয়েছে। স্থলমাইন অপসারণে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা হালো ট্রাস্টের তথ্যমতে, ১৯৭৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়ে দেশটিতে ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সত্তরের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত চলা দেশটির গৃহযুদ্ধের সময় এসব মাইন পুঁতে রাখা হয়।

সূত্র: বিবিসি

এসবি /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি