ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ছবি জাল!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সালভাতোর মুন্দি। যার অর্থ পৃথিবীর পরিত্রাতা। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা সেই ছবি বিশ্বখ্যাত। কে না জানেন! কিন্তু যদি আচমকা জানতে পারেন, সেই ছবি আসলে জাল। ছবিটি নাকি লিওনার্দোর আঁকাই নয়। হ্যাঁ, এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ম্যাথিউ ল্যান্ড্রাস। এখন এটা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে।

বিশ্বের সব থেকে দামি ছবি লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা এই সালভাতোর মুন্দি। বেশ কয়েক বার নিলামে উঠেছে এই বহুমূল্য ছবিটা। মাত্র এক বছর আগেই প্রায় ৪৫ কোটি ডলারে সেই ছবি কিনে নেন সৌদি আরবের এক রাজকুমার। কিছুদিন আগে জানা যায়, সৌদির সেই রাজকুমার আবু ধাবির ল্যুভ্‌রে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। তবে আপাতত সেই ছবিটির প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। গবেষকের আচমকা বিস্ফোরক দাবিই অন্যতম কারণ।

২০০৬ সালে লিওনার্দোর শিল্পকর্ম নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন ম্যাথিউ ল্যান্ড্রাস। পরের মাসে সেই বইয়ের সংশোধিত সংস্করণ বের হওয়ার কথা। সেখানেই এ ছবিটির ব্যাখ্যা করবেন বলে জানিয়েছেন ম্যাথিউ। তার দাবি, এটা লিওনার্দোর ছবি বটে, কিন্তু ছবিটা তার সহকারীদের আঁকা। বিশেষত বার্নার্দিনোবহু বছর কাজ করেছেন। তার আঁকা ছবি `দ্য ম্যাডোনা অ্যান্ড দ্য চাইল্ড` সম্প্রতি লন্ডনে এক লাখ ৭৩ হাজার পাউন্ডে নিলাম হয়েছে। ম্যাথিউর দাবি, ``ষোড়শ শতকে একটা ছবির পিছনে অনেকে মিলে কাজ করতেন। তাই এই ছবিটির শিল্পী কে, এই প্রশ্নের উত্তর এত সহজে দেওয়া যাবে না। তার উপযুক্ত ব্যখ্যা প্রয়োজন।

একটা সময় বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল সাভাতোর মুন্দি। পরে ছবিটির সন্ধান পাওয়া যায় ২০০৫ সালে। ১০ হাজার ডলারে নিউ অর্লিয়্যান্সের একটি নিলাম সংস্থা থেকে সেটি কিনে নেন এক দল শিল্প সংগ্রাহক। রেনেসাঁ আমলের ছবি মনে হলেও তখন কারও ধারণাই ছিল না যে, এটি দ্য ভিঞ্চির আঁকা। কারণ, তত দিনে মূল ছবির ওপর রংয়ের প্রলেপ চাপানো হয়েছে। ধীরে ধীরে সেই রঙের আস্তরণ সরিয়ে বেরিয়ে আসে দা ভিঞ্চির আঁকা ছবি।

তথ্যসূত্র: জিনিউজ ২৪ ঘণ্টা।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি