গ্রাহক পর্যায়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে অগ্রগতি নেই (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৯, ১৪ মে ২০২২
বিদ্যুৎখাতে সিস্টেম লস এখন ৮ শতাংশের ঘরে। একযুগ আগের তুলনায় ৬ শতাংশ কম। তবে শতভাগ গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় এলে অপচয় আরও কম হতো। সরকারের ভর্তুকি ও গ্রাহক পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির চাপও বাড়তো না। কিন্তু প্রায় ৯০ ভাগ গ্রাহক এখনও প্রিপেইড মিটারের বাইরে।
দেশের শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। গ্রাহকের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ কোটি ২২ লাখ। উৎপাদন হচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে। আর উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট।
তবে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, মিটার রিডিংয়ে কারসাজি, ভূয়া বিলসহ নানা অনিয়মে ৮.৪৮ শতাংশ বিদ্যুৎ অপচয় হয়।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শতভাগ গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার মাধ্যমে অপচয় কমানো সম্ভব। এতে সরকারের ভর্তুকি-ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির চাপও কমবে।
জ্বালানি বিশ্লেষক অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, “প্রিপেইড মিটার যদি সবাইকে দিতে পারতাম তাহলে সিস্টেম লসের নামে বিদ্যুৎ চুরির কবল থেকে বিদ্যুৎ খাতকে সুরক্ষা দেওয়া যেত। ভোক্তারা পরিকল্পনা মাফিক বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারত।”
এদিকে, অনিয়ম-অপচয় রোধ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ২০১৪ সালে গ্রাহক পর্যায়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপন শুরু করে বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু ৮ বছরে তেমন অগ্রগতি হয়নি। কাজ হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। ৪৮ লাখ ৩১ হাজার গ্রাহক পেয়েছেন প্রিপেইড মিটার।
পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, “পাইপ লাইনে আরও প্রায় ২ কোটি মিটার স্থাপনের মত বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সকল গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে, যাতে করে গ্রাহকরাও তার সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার নিজেরটা নিজে দেখতে পাবে। নিজের বিল নিজে পে করলো। এতে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ হয়ে যাবে।”
৬টি বিতরণকারী কোম্পানির মধ্যে পিডিবি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার, পল্লী বিদ্যুৎ ১৩ লাখ ১০ হাজার, ডিপিডিসি ৬ লাখ ১১ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে। তবে এগিয়ে ডেসকো। কোম্পানিটির ৫৫ ভাগ গ্রাহক পেয়েছেন প্রিপেইড মিটার।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাওসার আমীর আলী বলেন, “ “আমাদের প্রিপেইড মিটার সিস্টেমটা হলো অনলাইনে, গ্রাহক বিভিন্ন জায়গায় বসেই মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে তার কার্যক্রম চালাতে পারবেন। এই সিস্টেমটা এমআই সিস্টেমে কনভার্ট করছি। মোটকথা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যক্রমটা শতভাগ সম্পন্ন হবে।”
২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের।
এএইচ/
আরও পড়ুন