শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদ আর নেই
প্রকাশিত : ১৬:৫২, ৮ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৮:২৬, ৮ জুলাই ২০২২

বিশিষ্ট লেখিকা, কলামিস্ট ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হোসনে আরা শাহেদ আর নেই। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরন করেন।
অধ্যাপক হোসনে আরার স্বামী এ এফ শাহেদ আলী একজন ব্যবসায়ী। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে ফাহিম হাসান শাহেদ (ইমন) ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক। লেখিকার পুত্রবধূ মাসরুফা আয়েশা নুসরাত একটি খ্যাতিমান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
দীর্ঘ ৪০ বছর রাজধানীর শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকারি হোসনে আরা ১৯৪৩ সালে লক্ষ্মীপুরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিক্ষাবিষয়ক গ্রন্থসহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৮৬।
অধ্যাপক হােসনে আরা শাহেদ শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, কলাম লেখক হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। অবসর জীবন কাটাচ্ছিলেন ধানমন্ডিতে নিজ বাসায়। তার সব ধরনের- প্রবন্ধ, গল্প, রম্যরচনা জনপ্রিয়তা লাভ করে।
তার রচিত নিহত আগন্তুক, স্মৃতিময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযুদ্ধের শত গল্পসহ পঞ্চাশটি গ্রন্থ ভীষণ আলোড়ন তুলেছিল। বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত তার ‘শাড়ি' গ্রন্থটি পাক ভারত উপমহাদেশে শাড়ির ওপর প্রথম গবেষণা গ্রন্থ। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট প্রয়াত ইয়াসির আরাফাতের ওপর ২০০৫ সালে তার লেখা প্রকাশিত বইটিও এদেশে আরাফাতের ওপর প্রথম গ্রন্থ। স্বাধীনতার পর পুরাে সত্তর ও আশির দশক জুড়ে অধুনালপ্ত দৈনিক বাংলায় তার ‘পথের পাঁচালি’ কলামের জন্য বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
বাংলা একাডেমি, এশিয়াটিক সােসাইটি, বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ, একুশে চেতনা পরিষদসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের জীবন সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য (১৯৯১-৯৩ এবং ১৯৮৩-৮৫) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য (১৯৮৩-৯৫), গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিবাের্ডের সদস্য (২০০০ সাল থেকে) ছিলেন। বর্তমানে সময় অতিবাহিত করেছিলেন পাঠে ও লেখায়।
এসি
আরও পড়ুন